বিজ্ঞান ব্লগ

ভাবতে পারো কেমন হতে পারে ২০৫০ সালের আমাদের এ পৃথিবী ?

বেশ কয়োকটি বিষয় নিয়ে হাইলাইট করা হলো।যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চালকবিহীন গাড়ি,কোয়ান্টাম কম্পিউটার,চিকিৎসা জগৎ,মাহাকাশ খনন,অগমেন্টেড রিয়েলিটি,ড্রোন,ইলেকট্রনিক প্রপালেশন,দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যাবস্থা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি,স্মার্ট গ্রিড,ভাসমান শহর,দৃষ্টিশক্তি,সাইবার আক্রমন,মহাকাশপ্রযুক্তি,ইন্টারনেট,সমরাস্ত্র ইত্যাদি !

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা 
২০৫০ সালের মধ্যেই মানুষের হাতে এসে যাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন মানব সভ্যতার গতি-প্রকৃতি পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হবে।তর তর করে এগিয়ে যাবে অর্থনিতী।কায়িক শ্রম কমবে উৎপাদন ও বেশি হবে।ঝুকিপূর্ণ কাজে মানুষের অংশগ্রহণ কমানো সম্ভব হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষক ডেভিড লেভি বলছিলেন, এমন সময় আসবে যখন মানুষ রোবটের প্রেমে পড়বে এবং বিয়েও করবে রোবট-সঙ্গী বা রোবট-সঙ্গিনী। শুধু তাই নয়, এই বিয়ে আইনসম্মতও হবে।

এআই এর অনেক ব্যবহার ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন ভাবনার জায়গা তৈরি হয়েছে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সীমা নিয়ে। তবে কল্যাণজনক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে মানুষের জন্য জীবনযাপন অনেক সহজ হবে এমনকি সব জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো যাবে রোবট দিয়ে। সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া তাদের টেলিভিশন চ্যানেললে ‘এআই নিউজ রিডারের’ নিয়ে এসেছে। স্যুট টাই পরা ওই সংবাদ উপস্থাপককে দেখতে সম্পূর্ণ মানুষের মতো।

চালকবিহীন গাড়ি
২০৫০ সালের মধ্যে চালকবিহীন গাড়ির ব্যবহার প্রসারিত হবে বিশ্বব্যাপী। ফাইভজির অগ্রগতিতে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনের সুফলে ড্রাইভারলেস গাড়ি ব্যবহার হবে আনন্দের। গড়ে ওঠে স্মার্ট ভেহিকেল সিস্টেম। মিলকেন ইন্সটিটউটের তথ্য মোতাবেক ২০৩৫ সালের মধ্যেই পৃথিবীর সব গাড়ি হবে চালকমুক্ত।মানবীয় ভুলের সম্ভাবনা না থাকায় এই সব চালকবিহীন গাড়ি হবে বেশি নিরাপদ। এ ছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির জয়জয়কার হবে।ইতালীয় জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনেলের মতে ২০৫০ সাল নাগাদ প্রতি বছর বিশ্বে ইলেক্ট্রিক গাড়ির উৎপাদন দাঁড়াবে ১০ কোটিতে। যা সারা বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের ৩০ শতাংশ হ্রাস করবে।

কোয়ান্টাম কম্পিউটার
অত্যন্ত দ্রুতগতির এই মেশিন, যা সুপার-ফাস্ট কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত, ধারণা করা হচ্ছে, কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে এটি এক বিপ্লব ঘটাবে। এই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম জগৎ।
এবং অত্যাধুনিক সব কম্পিউটার দিয়েও যেসব সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না, সেসবও সমাধান করা সম্ভব হবে এ কম্পিউটারের মাধ্যমে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার বাণিজ্যিকভাবে সুলভ হলে সেটি হবে আজকের একটি সুপার কম্পিউটারের সমান সক্ষমতার। এ কম্পিউটার সিস্টেমের ওপর দাঁড়াবে পরবর্তী প্রজন্মের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, অগমেন্টেড রিয়েলিটি ও ইন্টারনেট অব থিংস।

এগুলো  পড়েছেন ?

সায়েন্স ফিকশন “সেকশন 21”প্রফেসর নাডুস ও হিঞ্চিগুবাসীদের গোপন চুক্তি (বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী)

(সায়েন্স ফিকশন) ড্যাজল-২: অন্য একটা পৃথিবী -পর্ব ১


মহাকাশে খনন 
মহাকাশে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনার কথা হরহামেশাই শোনা যায়। ২০৫০ সালে এটি আরও বড় পরিসরে এগোবে। তখন পৃথিবীর বুকে তেল, গ্যাস, কয়লা বা সোনা খোঁজার মতো করেই মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে, গ্রহে মানুষ খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করবে। পৃথিবীর বাইরে প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ ২০৫০ সালেই মিলতে পারে।

অগমেন্টেড রিয়েলিটি
অগমেন্টেড রিয়েলিটির ব্যবহারের ব্যাপকতা দেখা যাবে। গুগল, অ্যাপল, আসুসের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সাম্প্রতিক সময়ে তাদের স্মার্টফোনে অগমেন্টেড রিয়েলিটি চালু করেছে। এটা নিশ্চিতভাবে নির্দেশ করছে আগামী দিনগুলোয় অগমেন্টেড রিয়েলিটি আরও সুদূরপ্রসারী ও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। কারণ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ফলো করবে।

ড্রোন
ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে ড্রোন একটি মেইনস্ট্রিম প্রযুক্তিতে রূপ নেবে। এবং বিভিন্নরকম ড্রোনের বিভিন্ন রকম ব্যবহার দেখা যাবে, ডেলিভারি ড্রোন এমনকি মনুষ্যবাহী ড্রোনও দেখা যাবে। অ্যামাজন, আলিবাবাসহ বিশ্বের সব বড় রিটেল কোম্পানি পণ্য ডেলিভারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করবে। সিনেমার শুটিংয়ের জন্যও এর বহুল ব্যবহার হবে।
বলা যায় ২০৫০ সালের পৃথিবী আজকের পৃথিবী থেকে অনেক অংশেই এগিয়ে থাকবে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে, জীবনযাত্রার মান আরও অনেক উন্নত হবে।

ইলেকট্রিক প্রপালশন 
নাসা এ নিয়ে কাজ করছে ২০০৭ সাল থেকে। এর আগে এটি মানুষের নজরে আসেনি। বিদ্যুেক কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রা বহু বছর ধরেই সহজ করে আনছে মানুষ। সেখানে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার কমে গেছে বহুগুণ। এই বিদ্যুত্শক্তি আরও সহজলভ্য করার জন্য যে গবেষণা চলছে তার সমাধান ২০৫০ সালের আগেই মানুষের কাছে এসে যাবে। পৃথিবীর বাইরে মানুষের যে শক্তি ও জীবনের অনুসন্ধান চলছে তাতে এই সমাধান যুগান্তকারী পরিবর্তন এনে দেবে।

দ্রুতগতির যোগাযোগ ব্যবস্থা 
সময় বাঁচাতে মানুষ আরামদায়ক ও নিরাপদ যানবাহন উদ্ভাবনে মন দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাফল্যেরও দেখা মিলেছে। তবে ২০৫০ সালের মধ্যেই এর পুরো ফলাফল মানুষ ভোগ করবে। দ্রুতগতির ট্রেন, প্রাইভেট কার, উড়োজাহাজ ও জাহাজ মানুষ ব্যবহার করতে পারবে। এগুলোর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটারের মতো। এছাড়া সম্পূর্ণ বিদ্যুত্চালিত গাড়িও তখন রাস্তা দাপিয়ে বেড়াবে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হল সফটওয়্যার নির্মিত একটি কাল্পানিক পরিবেশ যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব জগৎ হিসেবে বিবেচিত হয়। ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অনেক বেশি সহজলভ্য হয়ে যাবে, তখন তা বিনোদন থেকে শুরু করে যোগাযোগ পর্যন্ত প্রায় সব ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে। বিভিন্ন পেশা ও গবেষণায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রয়োগের ফলে সমাজে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

উন্নত ধাতু 
উন্নত প্লাস্টিক তৈরিতেও মানুষ ২০৫০ সালের মধ্যে সফল হবে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়া উন্নত সংকর ধাতুও তৈরি করতে সক্ষম হবে মানুষ। বিভিন্ন নতুন পদার্থের খোঁজ মিলতে পারে এ সময়ের ব্যবধানে। এগুলো দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তো বটেই উড়োজাহাজ, রকেট তৈরিতেও মানুষ অভাবনীয় সাফল্য পাবে। কার্বন গ্রাফাইট ব্যবহার করে মানুষ স্বচ্ছ ধাতু পাত আবিষ্কার করতে পারে। এগুলো ওজনে হবে হালকা কিন্তু পুরুত্ব হবে বেশি। মাত্র কয়েকশ টন হবে আকাশছোঁয়া দালানের ওজন।

স্মার্ট গ্রিড 
বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন করা হবে ২০৫০ সালের মধ্যে। স্মার্ট গ্রিড সেই পথেরই একটি সম্ভাব্য পদ্ধতি। বর্তমানে প্রতিবছর পৃথিবীতে শক্তির চাহিদা দুই শতাংশ করে বাড়ছে। ২০৫০ সালে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ৩ গুন বিদ্যুৎ বেশী প্রয়োজন হবে । স্মার্ট গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ অপচয় কম হবে ও পুরো বিশ্ব একটি বৈদ্যুতিক যোগাযোগের মধ্যে আসবে। ফলে সহজেই প্রয়োজন মতো গোটা বিশ্বে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এই নেটওয়ার্ক স্মার্ট গ্রিড হিসেবে পরিচিত হবে।

ভাসমান শহর 
পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে সমুদ্রতলের উচ্চতা। তাই আশঙ্কা করা হয়, ২০৫০ সালের মধ্যেই নিউইয়র্ক বা মুম্বাইয়ের মতো শহরগুলো বন্যায় ডুবে যাবে। বিশ্বের প্রধানতম শহরগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে ২০৫০ সালে ভাসমান শহর প্রযুক্তি মানুষের হাতে চলে আসবে। ফলে সমুদ্রে দেখা যাবে বিভিন্ন ভাসমান শহর। এগুলো বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হবে না। এই শহরগুলো মাল্টিস্টোরেড দালানের মতোই গড়ে উঠবে।

চিকিৎসা জগৎ
মানুষ আশায় বাঁচে। ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষকে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্চের মধ্যদিয়ে যেতে হবে। তেল, গ্যাস ও খাওয়ার পানি ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই। সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে আশার কথা, মানুষ এই সময়েই পাবে উন্নত ভ্যাকসিন বা টিকা। রোগ মোকাবিলায় মানুষ আশাতীত সাফল্যের দেখা পেতে পারে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৮০ বছরের কাছাকাছি। এইচআইভি ও ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি পুরোপুরি নিরাময় করা যাবে।

এছাড়া মস্তিষ্কের রোগেও মানুষকে আর ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে না বলে দাবি করেন গবেষকরা। ২০৪৫ সালের মধ্যেই মানুষের মস্তিষ্ক মানচিত্র তৈরি ও বিশ্লেষণ করা সম্ভব হতে পারে। ফলে সহজেই মানুষের স্মৃতিশক্তি সংরক্ষণ করা ও চিন্তাশক্তির পূর্ণ ব্যবহারে যুগান্তকারী সাফল্য আসতে যাচ্ছে। মানুষের মস্তিষ্ক তখন কম্পিউটারের মতোই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করা যাবে। চাইলে যে কেউ তার স্মৃতি কম্পিউটারে জমা করে রাখতে পারবে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও দেখা মিলবে অবিশ্বাস্য প্রযুক্তির। আজকের পৃথিবীতে যা অবিশ্বাস্য ২০৫০ সালে তা হবে একেবারেই সাদামাঠা ব্যাপার।

এখন মানুষের হাত-পা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থেকে আরও উন্নত হবে চিকিৎসা জগৎ। তখন মানুষের হূিপণ্ড ও মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনেও সাফল্য আসতে পারে। রোবোটিক হাত-পা ব্যবহার করতে পারবে মানুষ।হয়ত তখন করোনার ভেক্সিনও আবিষ্কার হয়ে যাবে।ডিজাইনার বেবি’ ট্রেন্ডে তৈরি হবে সুপারহিউম্যান। জেনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে শিশুর গড়ন, বুদ্ধি, শারীরিক ক্ষমতা ইত্যাদি আগে থেকে চিকিৎসককে জানাবেন বাবা-মা। জিন মডিফিকেশন করে তৈরি হবে

দৃষ্টিক্ষমতা
মানুষের কাছের দৃষ্টিক্ষমতা বাড়বে, কমবে দূরের দৃষ্টি। সারাদিন কম্পিউটার এবং গ্যাজেট আঁকড়ে থাকতে থাকতে দূরের জিনিস দেখার স্বাভাবিক ক্ষমতা কমবে। অর্থাৎ মাইনাস পাওয়ার বাড়বে।

সাইবার আক্রমণ
মানুষ যত প্রযুক্তির দিকে নির্ভরশীল হচ্ছে তত তার নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত হয়ে উঠছে। ২০৫০ সালে সাইবার আক্রমণ আরও শক্তিশালী ও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।তখন মরনঘাতী অস্র দিয়ে যুদ্ধর পরিবর্তে সাইবার যুদ্ধ শুরু হবে।।সাথে অনুজীবকেও আরও গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে গৃহীত হবে !

এগুলো পড়েছেন ?

১।কোয়ান্টাম এন্টেঙ্গেলমেন্ট-শুধুই কী সাইন্স ফিকশন থেকে উঠে আসে গল্প নাকি বাস্তবতা?

২।চলুন ঘুরে আসি পৃথিবীর সবথেকে বড় গুহা থেকে।

৩।পৃথিবীর পরমাণু সংখ্যা থেকে তাসের শাফল সংখ্যা বেশি। কিন্তু কীভাবে?


মহাকাশপ্রযুক্তি
ততদিনে হয়ত মঙ্গলে মানুষ বসবাসের জন্য চলে যাবে(সফল হয় বা না হয় সেটা আলাদা)।চাঁদেও হয়ত বসতি স্হাপনে আগ্রহী হবে।

আমাদের দেশের মত গরীব দেশগুলা চাঁদে যাওয়ার প্রজেক্ট হাতে নিবে।মহাকাশ গবেষনা আরো উন্নত থেকে উন্নততর হবে।Isssএর মত অবজেক্ট গুলা দেখার জন্য তখন আর রাত বিরাতে ঘন্টার পর ঘন্টা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না প্রতিটা। এলাকায় টেলিস্কোপ সহজলভ্য হয়ে যাবে।মহাকাশের আবর্জনাগুলা অনায়সে তখন হয়ত সরানোর প্রযুক্তিও চলে আসতে পারে

ইন্টারেনেট
পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে তখন আর 3g বা 4g নিয়ে বসে থাকবে না। নতুন কোন জেনারেশন চালু হয়ে যাবে।অধিকাংশ দেশ বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেওয়া শুরু করবে হয়ত।পৃথিবীর ৯৮% মানুষ ইন্টারনেটের আওতাধীন থাকবেন।

ক্যাশলেস পৃথিবী
প্রযুক্তির কল্যাণে ২০৫০ সালে পৃথিবীতে ক্যাশ লেনদেন থাকবে না বলেই মত দেন বিশ্লেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে সব ধরনের লেনদে অনলাইনে এবং মেশিনভিত্তিক হয়ে যাবে। সর্বক্ষেত্রে ক্যাশলেস লেনদেন প্রচলিত হবে। টাকা কেবল সংখ্যায় দেখা যাবে। হাতে হাতে টাকার দিন শিগগিরই ফুরাবে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কাউকে টাকা ধার দিতে গেলেও করতে হবে অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার।

◾সমরাস্ত্র-বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে যাবে।পারমানবিক বোমার চেয়ে তখন হাইড্রোজেন বোমাকে আরো ভয়াবহ ভাবে দেখা হতে পারে।সাথে লেজার অস্ত্রর ব্যাপক বিস্তার দেখা যাবে।

Exit mobile version