আপনি সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন মানুষের সংস্পর্শে এসে থাকলে আপনাকে সতর্ক করে দিতে পারবে এমন এক প্রযুক্তি তৈরির জন্য যৌথভাবে কাজ করছে অ্যাপল এবং গুগল ।
গুগল এবং অ্যাপলের সমঝোতটা মূলত তৃতীয় কোনো পক্ষকে সহায়তায় জন্য। করোনাভাইরাসের তথ্যসংগ্রহে কাজ করছে এমন তৃতীয় পক্ষ যদি অ্যাপ ডেভেলপ করে তবে তাদের তথ্যগত সহায়তা দেবে অ্যাপল এবং গুগল।
কিন্তু তাদের আসল লক্ষ্য এমন এক প্রযুক্তি তৈরি করা যাতে কোন অ্যাপ ডাউনলোডের দরকারই হবে না।
অ্যাপল এবং গুগল মনে করে, প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে যাদের উদ্বেগ আছে, তাদের এই কৌশল সেই সমস্যার সমাধান করবে। কারণ যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন তাদের নাম–পরিচয়ের কোন উল্লেখ কোথাও থাকবে না।
Related Article :আলাস্কা ট্রায়াঙ্গেলঃ রহস্য, কল্পনা ও বাস্তবতা
প্রযুক্তিটি কাজ করবে কীভাবে ?
মূলত প্রতিটি অ্যানড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোনের ব্লু–টুথ সিগন্যাল ব্যবহার করে জানা যাবে কোন করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষের কাছে কেউ গিয়েছিল কিনা এবং যথেষ্ট দীর্ঘ সময় সেখানে ছিল কিনা যার ফলে তারও সংক্রমণহয়ে থাকতে পারে।
পরে যদি পরীক্ষায় দেখা যায় যে কোন মানুষের কোভিড–নাইনটিন হয়েছে, তখন তার কাছাকাছি আসা অন্য মানুষদের স্মার্টফোনে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে সেটি জানিয়ে দেয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এই নতুন উদ্যোগটি বিবেচনার জন্য তার প্রশাসনের কিছু সময় দরকার।হোয়াইট হাউসের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটা বেশ আগ্রহী হওয়ার মতো একটা বিষয়, কিন্তু বহু মানুষের উদ্বেগ আছে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ব্যাপার নিয়ে।আমাদের এই ব্যাপারটা ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং তারপর আমরা এ বিষয়ে আপনাদের শীঘ্রই জানাবো।“
এই প্রযুক্তি কাজ করার পূর্বশর্ত অবশ্য কোয়ারেন্টিনে থাকা বা সংক্রমণের শিকার হওয়া ব্যবহারকারীর তথ্য শেয়ার করার ওপরনির্ভর করবে।তাছাড়া এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর যেসব তথ্য সংগৃহীত হবে, সেগুলো জমা থাকবে রিমোট কম্পিউটারসার্ভারে। তাই একজন ব্যবহারকারীর প্রকৃত পরিচয় উদঘাটন করা সম্ভব হবে না।
তাদের প্রযুক্তির আরেকটি সুবিধা হচ্ছে, যারা অ্যাপ তৈরি করবে, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড উভয় ধরণের অপারেটিং সিস্টেমেই তাদের অ্যাপ কাজ করবে এবং নতুন এই প্রযুক্তিতে ব্যাটারি খরচও কম হবে বলে তারা আশা করছে।
উদ্যোগটি সফল হলে বিশ্বের প্রায় তিনশ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহাকারী এর আওতায় আসবেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জারি করা লকডাউন এবং সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করা সম্ভব হবে।
সোর্স-https://www.bbc.com/news/technology-52246319https://www.bbc.com/news/technology-52246319