বিজ্ঞান ব্লগ

গল্পে গল্পে কল্পবিজ্ঞান: কেমন হবে ২০৫০ সালের বিশ্ব?

জ অনেকমাস হয়ে গেল বিজ্ঞানী মেহেদী হাসান একটি টাইম মেশিন বানানোর চেষ্টা করছেন। এই নিয়ে কত বার যে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন তার হিসেব নেই! তবুও তিনি হাল ছেড়ে দিচ্ছেন না। তার আশা একদিন না একদিন তিনি সফল হবেন। উনি এই কাজে সাহায্য করার জন্য একজন সহকারী রেখেছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় সেই সহকারী কোনো মানুষ নন, একটি রোবট! হ্যাঁ, বিজ্ঞানী মেহেদী মনে করেন এসব কাজে যন্ত্রমানব তথা রোবটই শ্রেয়।

বিজ্ঞানী মেহেদী কদিন ধরেই অতীত, ভবিষ্যৎ, চতুর্মাত্রিক জগৎ, আপেক্ষিক তত্ত্ব ইত্যাদি নিয়ে দিন-রাত পড়াশোনা করছেন। তাছাড়া বহু বইপত্র ঘাটাঘাটি করতে লাগলেন। তিনি অবশেষে বুঝতে পারলেন, উপযুক্ত পরিবেশে সময়ের অনুকূল কিংবা প্রতিকূলে যাত্রা করে ভবিষ্যৎ কিংবা অতীতে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু সময়ের স্রোতে যাত্রার পূর্বমূহর্তে অচিন্তনীয় পরিমাণ শক্তিক্ষয়ের প্রয়োজন। সেই মূহুর্তে শক্তিক্ষয় নিয়ন্ত্রণ না করলে পুরো যাত্রা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। যাত্রার পূর্ব ও শেষ মূহুর্তের মধ্যবর্তী সময় স্থির সময়ের ক্ষেত্রে পরিভ্রমণে কোনো শক্তির প্রয়োজন নেই।

বিজ্ঞানী মেহেদীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানার প্রবল আগ্রহ। এই আগ্রহ টাইম মেশিন বানানোর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।

সারা দিন-রাত বিজ্ঞানী মেহেদী যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন। তিনি সহকারী রোবটটিকে যা আদেশ করতেন রোবটটি সেই মোতাবেক কাজ করে দিচ্ছে। ফলে বিজ্ঞানী মেহেদীর শারীরিক পরিশ্রম কিছুটা লাঘব হয় ঠিকই কিন্তু মানসিক পরিশ্রমের সম্পূর্ণটাই তাকে করতে হচ্ছে। কেননা রোবটির বুদ্ধিভিত্তিক কোনো দক্ষতা নেই। থাকবে কোথা থেকে? বিজ্ঞানী মেহেদী তো তাকে সেভাবেই তৈরি করেছেন!

এগুলো পড়েছেন ?

অজানা জেনেটিক্স: ইউজেনিক্স,ডিজাইন শিশু,মানব ক্লোনিং

দাবা: গণিত ও মুভ নিয়ে মাতামাতি!

পাখিরা বৈদ্যুতিক তারের উপর বসলে শক খায় না কেন?

বিজ্ঞানী মেহেদী একদিন রোবটটিকে বলেন, “এলিক্স, টাইম মেশিনটির স্ক্রিনে খেয়াল রাখো। কোনো সংকেত পেলে আমাকে তৎক্ষণাৎ জানাবে!

রোবট এলিক্স কঠমঠে স্বরে বলে, “ওকে, স্যার।”

তারপর বিজ্ঞানী মেহেদী বিভিন্ন বইপত্র ঘাটাঘাটি করতে পাশের রুমে চলে গেলেন। রোবট এলিক্স টাইম মেশিনটির স্ক্রিনে খেয়াল রাখে।

প্রায় ২ ঘন্টা পর রোবট এলিক্স হঠাৎ টাইম মেশিনটির স্ক্রিনে আলোর ঝলকানি দেখতে পেল!

রোবট এলিক্স দৌড়ে পাশের রুমে গিয়ে (কঠমঠে স্বরে বলে উঠল, “স্যার! স্যার!”

বিজ্ঞানী মেহেদী: কী হয়েছে? চলে আসলে কেন?

রোবট এলিক্স: (কঠমঠে স্বরে) আলো! আলো!

বিজ্ঞানী মেহেদী: (উত্তেজিত হয়ে) স্ক্রিনে আলো দেখতে পেয়েছো?

রোবট এলিক্স: (কঠমঠে স্বরে) হ্যাঁ, স্যার!

বিজ্ঞানী মেহেদী: চলো তাহলে!

বিজ্ঞানী মেহেদী আর রোবট এলিক্স তাড়াতাড়ি পাশের রুমে যায়।

টাইম মেশিনের সামনে গিয়ে বিজ্ঞানী মেহেদী অবাক। কোনো আলোর ঝলকানি নেই মেশিনে! তবে কী রোবট এলিক্স মিথ্যা কথা বলছে? না, তা কী করে হয়? রোবট এলিক্স মিথ্যা কথা বলতে পারে না।

বিজ্ঞানী মেহেদী: কোথায়? কোনো আলোর ঝলকানি নেই! এলিক্স তুমি ঠিক দেখেছো তো?

রোবট এলিক্স: (কঠমঠে স্বরে) হ্যাঁ, স্যার। আমি সত্যিই দেখেছি।

বিজ্ঞানী মেহেদী: তা ঠিক। তুমি সত্যি ছাড়া মিথ্যা বলো না। কারণ আমি তোমার কপোট্রনে মিথ্যা বলা সেট করি নি। তুমি শুধু সত্যই বলতে পারবে! কিন্তু আলোর ঝলকানি আর দেখা যাচ্ছে না কেন?

রোবট এলিক্স: (কঠমঠে স্বরে) বলতে পারবো না স্যার।

বিজ্ঞানী মেহেদী: আচ্ছা আমি আবার দেখছি। তুমি যাও। অন্যান্য কাজ করো।

রোবট এলিক্স চলে গেল।

বিজ্ঞানী মেহেদী অপেক্ষা করছে আবার কখন সেই আলোর ঝলকানি হবে!

তিনি প্রায় ২ ঘন্টা যাবৎ অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না।

হঠাৎ আলোর ঝলকানি দেখা যাচ্ছে! বিজ্ঞানী মেহেদী নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না!

এমন সময় হঠাৎ টাইম মেশিনের স্ক্রিনে একজন কে দেখা গেল!

বিজ্ঞানী মেহেদী তো অবাক। একটি রোবটকে দেখা যাচ্ছে!

তবে সেটি দেখতে যেই সেই রোবটের মতো নয়। হুবহু মানুষের মতো দেখতে।

বিজ্ঞানী মেহেদী খুবই উত্তেজিত! প্রথমবারের মতো তার আবিষ্কার সফল হলো! তার টাইম মেশিন কাজ করছে!

“হ্যালো স্যার, আমার নাম রোবট থিউস। আমি অতীতের সাথে যোগাযোগ করছি”—বলে উঠল ভবিষ্যৎ থেকে যোগাযোগকারী মানুষরূপি রোবটটি।

বিজ্ঞানী মেহেদী তো বিশ্বাস ই করতে পারছে না। সে ভবিষ্যতের কোনো রোবটের সাথে যোগাযোগ করছে!

বিজ্ঞানী মেহেদী: হ্যালো, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে, তুমি ভবিষ্যতে থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করছ!

রোবট থিউস: হ্যাঁ, আমি আপনাদের ভবিষ্যৎ থেকে যোগাযোগ করছি। কিন্তু আমার জন্য তা অতীত!

বিজ্ঞানী মেহেদী: তা তো ঠিক। কিন্তু তুমি কীভাবে আমার সাথে যোগাযোগের সমন্বয় করলে?

রোবট থিউস: আমি অনেকদিন ধরেই আপনার টাইম মেশিনের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো একটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। অবশেষে যোগাযোগ করতে পেরে আপনার কেমন লাগছে, বিজ্ঞানী মেহেদী?

বিজ্ঞানী মেহেদী: ভালো, তবে তুমি আমার নাম জানলে কীভাবে?

রোবট থিউস: সেটা একটু পরেই জানতে পারবেন! আগে বলুন আপনার এই পরিশ্রমের কারণ কী? এত কষ্ট করে টাইম মেশিন কেন বানিয়েছেন? নিশ্চয় কোনো বিশেষ দরকার?

এগুলো পড়েছেন ?

রসায়ন পর্যায় সারণীর ইতি কথা (পর্ব-০১ )

সংবাদপত্র থেকে গাছ? অবিশ্বাস্য নয় সত্যি

জ্বলন্ত অগ্নিস্রোতের উপর প্রাণীকুলের বসবাস


বিজ্ঞানী মেহেদী:
হ্যাঁ, আমি আসলে টাইম মেশিন বানিয়েছি ভবিষ্যতে কী হবে তা জানার জন্য! তুমি কী আমাকে সাহায্য করতে পারবে?

রোবট থিউস: হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনি কী জানতে চান বলুন! তবে আমি ২০৫০ সালে অবস্থান করছি। আমি আপনার সময় থেকে এই সময়টুকু পর্যন্ত আপনাকে জানাতে পারব।

বিজ্ঞানী মেহেদী: আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি তাহলে আমাকে ২০৫০ সালের বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে জানাও!

রোবট থিউস: আমাদের সময়ের বিশ্বের অবস্থা আপনার ভালো নাও লাগতে পারে।

বিজ্ঞানী মেহেদী: কেন?

রোবট থিউস: কেননা আপনি এখন যে সময়ে বসবাস করছেন, সেটা থেকে আমাদের বর্তমান সময়ের বিশাল তফাৎ!

বিজ্ঞানী মেহেদী: আচ্ছা শুনি তাহলে।

রোবট থিউস: যদিও আমাদের বর্তমান সময়ে অর্থাৎ ২০৫০ সালে পৃথিবীতে আমূল পরিবর্তন হবে।

বিজ্ঞানী মেহেদী: (আগ্রহের সাথে) কেমন হবে সেই ২০৫০ সালের পৃথিবী!

রোবট থিউস: ২০৫০ সালের মধ্যে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ফলে দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠবে আরও আরামদায়ক। কিন্তু উল্টোদিকে তাকালে ফুরিয়ে আসবে তেল, গ্যাস। ঘনিয়ে আসবে বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। আর সেসব দূর্যোগে অনেক মানুষ প্রাণ হারাতে থাকবে!

বিজ্ঞানী মেহেদী: এই দুর্যোগ ও অনাগত সাফল্য, সম্ভাবনাগুলো নিয়েই কী পৃথিবী এগিয়ে চলছে?

রোবট থিউস: হ্যাঁ, কিন্তু এর ফলেও মানুষ আশায় বাঁচতে থাকবে। ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষকে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্চের মধ্যদিয়ে যেতে হবে। তবে আশার কথা, মানুষ এই সময়েই পাবে উন্নত ভ্যাকসিন বা টিকা। রোগ মোকাবিলায় মানুষ আশাতীত সাফল্যের দেখা পাবে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে দাঁড়াবে ৮০ বছরের কাছাকাছি।

বিজ্ঞানী মেহেদী: এই সব কী ২০৫০ সালের মধ্যে হবে?

রোবট থিউস: হ্যাঁ। এবং আরেকটি যুগান্তকারী উদ্ভাবন হবে ২০৫০ সালের মধ্যেই।

বিজ্ঞানী মেহেদী: কী?

রোবট থিউস: মানুষের মস্তিষ্কের মানচিত্র তৈরি ও বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে। ফলে সহজেই মানুষের স্মৃতিশক্তি সংরক্ষণ করা ও চিন্তাশক্তির পূর্ণ ব্যবহারে যুগান্তকারী সাফল্য আসবে। মানুষের মস্তিষ্ক তখন কম্পিউটারের মতোই নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করা যাবে। চাইলে যে কেউ তার স্মৃতি কম্পিউটারে জমা করে রাখতে পারবে।

বিজ্ঞানী মেহেদী: এটিও কী সম্ভব?

রোবট থিউস: অবশ্যই! বর্তমানে আপনাদের সময়ে যা অবিশ্বাস্য ২০৫০ সালে তা হবে একেবারেই সাদামাঠা ব্যাপার। অঙ্গ প্রতিস্থাপনেও দেখা মিলবে অবিশ্বাস্য প্রযুক্তির।

বিজ্ঞানী মেহেদী: এখনও তো আমাদের সময়ে মানুষের হাত-পা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।

রোবট থিউস: হ্যাঁ, তবে সেই ধারা অব্যাহত থেকে আরও উন্নত হবে চিকিৎসা জগৎ। তখন মানুষের হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপনেও সাফল্য আসবে। রোবোটিক হাত-পা ব্যবহার করতে পারবে মানুষ।

বিজ্ঞানী মেহেদী: রোবোটিক হাত-পা? এ তো সত্যিই অবিশ্বাস্য!

রোবট থিউস: হ্যাঁ, ওই যে বললাম বর্তমানে আপনাদের সময়ে যা অবিশ্বাস্য ২০৫০ সালে তা হবে একেবারেই সাদামাঠা ব্যাপার। তাছাড়া ২০৫০ সালের মধ্যেই মানুষের হাতে এসে যাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন মানব সভ্যতার গতি-প্রকৃতি পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হবে।

বিজ্ঞানী মেহেদী: তা তো কিছু কিছু এখনো আছে আমাদের।

রোবট থিউস: হ্যাঁ, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে আমূল পরিবর্তন হবে। আপনি কী জানেন? ২০৫০ সালে শহরায়ন ও নগরায়ণের প্রভাবে মানুষের গ্রহণযোগ্য বাতাসে দূষণ বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে যাবে। বাতাস দূষিত হলে মানুষ সরাসরি ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হবে। এছাড়া ওজোন স্তরের মারাত্মক ক্ষতি হবে এই সময়ের ব্যবধানেই।

বিজ্ঞানী মেহেদী: তাহলে তো মানুষের পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকা খুবই কষ্টস্বাধ্য হবে!

রোবট থিউস: সেই কারণে ২০৫০ সালে মহাকাশে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা আরও বড় পরিসরে এগোবে। তখন পৃথিবীর বুকে তেল, গ্যাস, কয়লা বা সোনা খোঁজার মতো করেই মহাকাশের বিভিন্ন প্রান্তে, গ্রহে মানুষ খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করবে। পৃথিবীর বাইরে প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ ২০৫০ সালেই মিলতে পারে।

বিজ্ঞানি মেহেদী: আচ্ছা ২০৫০ সালে পৃথিবীতে পানির কেমন ব্যবস্থা থাকবে?

রোবট থিউস: ২০৫০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ সুপেয় পানি পাবে না।

বিজ্ঞানী মেহেদী: কী বলছো তুমি? এখনই প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে না। যা প্রায় পুরো পৃথিবীবাসীর ৪০ শতাংশ। এছাড়া প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ প্রতিনিয়ত পানির সংকটে ভুগছে।

রোবট থিউস: আর ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ খাওয়ার পানি পাবে না।

বিজ্ঞানী মেহেদী: এর ফলে তাহলে মারাত্মক সংকট তৈরি হবে ফসলি জমিতে সেচের ক্ষেত্রেও। তাই না?

রোবট থিউস: হ্যাঁ, পানির অভাবে ফসলি জমিতে সেচ দেওয়া যাবে না। ফলে তৈরি হবে খাদ্য সংকট। তাছাড়া পৃথিবীতে জনসংখ্যা ১ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে।

বিজ্ঞানী মেহেদী: তাহলে তো আমাদের জন্য সামনে ভয়ংকর বিপদ অপেক্ষা করছে!

রোবট থিউস: তবে আপনি জানলে খুশি হবেন এই ভেবে যে, রোবট আপনাদের সব দৈনন্দিন কাজের ভার গ্রহণ করবে! রোবট আপনাদের চুল কাটা থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টে সেবা দেওয়া এবং খাবার রান্না থেকে শুরু করে আপনারা যে সমস্ত দৈনন্দিন কাজ করেন তার সবই করতে সক্ষম হবে।

বিজ্ঞানী মেহেদী: তা কী করে হয়? যন্ত্রমানব শুধু যন্ত্রের মতোই কাজ করতে পারে। রেস্টুরেন্টে সেবা দেওয়ার জন্য, রান্না করার জন্য অনুভূতির প্রয়োজন। তা কী একটি রোবটের থাকা সম্ভব?

রোবট থিউস: কেন নয়? আপনি এই প্রশ্ন করছেন? আপনিই তো সেই ধরনের রোবটের জনক হবেন। জ্ঞান, বুদ্ধি, অনুভূতিসম্পন্ন রোবট তো আপনিই আবিষ্কার করবেন।

বিজ্ঞানী মেহেদী: এসব তুমি কী বলছো? আমি বানাবো এমন রোবট?

রোবট থিউস: আশ্চর্য হচ্ছেন কেন স্যার? আচ্ছা আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন না যে, আমি আপনার নাম কী করে জানলাম?

বিজ্ঞানী মেহেদী: হ্যাঁ। কী করে জানলে?

রোবট থিউস: কারণ আমিই তো আপনার সেই আবিষ্কৃত রোবট যার অনুভূতি আছে, জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, সত্য-মিথ্যা উভয়ই বলার ক্ষমতা আছে। যাকে আপনি ৩০ বছর আগে শুধুমাত্র যান্ত্রিক কাজে ব্যবহার করার জন্য তৈরি করেছিলেন এবং তার নাম দিয়েছিলেন রোবট এলিক্স!

পরক্ষণেই টাইম মেশিনের স্ক্রিন থেকে রোবটটি অদৃশ্য হয়ে গেল।

প্রায় ৩০ মিনিটের কথোপকথনে বিজ্ঞানী মেহেদীর মনে হচ্ছে তিনি ৩০ বছর এগিয়ে গেছেন!

Exit mobile version