ধরো,তুমি ২০৫০ বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখছো,যেখানে ২ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চায়নার সাথে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি পরস্পরের মুখোমুখি।অবাক হচ্ছো?
তবে,তোমার অবাক হওয়ার পালা কেবল শুরু।১০ বছর আগে কি ভাবতে পেরেছিলে, গোল লাইন টেকনোলজির কথা,ভিএআর প্রযুক্তির কথা,4K রেজুলেশনে খেলা দেখার কথা?তাহলে একবার ভেবে দেখো,আজ থেকে ৩০ বা ৩২ বছর পর ২০৫০ সালে টেকনোলজি কোন পর্যায়ে যাবে?
চায়না বা জার্মানি এখানে শুধুমাত্র একটি নমুনা মাত্র,আসল চমক গুলো থাকবে টেকনোলজিতে।হয়ত হ্যারি পটারের কিডিচ খেলা দেখবে না,কিন্তু যা দেখবে তা হয়ত তোমার চিন্তা ধারারও অনেক বাইরে হবে।
যেমন ধরো,তুমি গ্রামে গিয়ে নৌকো ভ্রমণ করছো,একই সাথে খেলাও দেখছো।কিন্তু তোমার অনুভূতি হবে তুমি মাঠে বসে,ইচ্ছে মত পুরো মাঠ ঘুড়ে ঘুড়ে খেলা দেখছো।যেন তুমি দর্শক নও,একজন খেলোয়ার।
আরও ধরো,শুধু খেলা দেখা নয়,তুমি নৌকোয় বসেই তোমার প্রিয় দলের জন্যে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছো,আর সেই চিৎকারও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তোমার মাঠে থাকা দলের কানে পৌঁছে যাচ্ছে।কোন কিছুই অবিশ্বাস্য নয়।
নৌকোয় বসে ঘরে বসে,তুমি তোমার দলকে সাপোর্ট করতে পারছো,সারা মাঠ ঘুরে ঘুরে খেলা দেখতে পারছো,যেখানে টিকেটের কোন ঝামেলা নেই,গ্যালারির কোন দরকার নেই।
চাইলে তুমি গ্যালারিতেও বসেও উপভোগ করতে পারো এসব টেকনোলোজির ছোঁয়া।মাঠে বসেও ৩৬০ ডিগ্রি ভিওয়ে ভিআর ব্যবহার করে পুরো মাঠ জুড়ে খেলা দেখতে পারো।তুমি নির্দিষ্ট সীটে বসেই পুরো মাঠের প্রতিটি কোণেই রাখতে পারবে চোখ ।
এখন রেফারিরা গোল লাইন টেকনোলজি ব্যবহার করছেন,তখন হয়ত দেখা যাবে বলের ভেতরেই ট্র্যাকিং সিস্টেম থাকবে,গোল লাইন পার হলে,বল ই এলইডি সিগনাল দেবে।
|
বাংলাদেশের প্রথম ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ সম্পর্কে জানতে ক্লিক করো |