বিজ্ঞান ব্লগ

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস প্রতিষ্ঠার মজার গল্প

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস হলো বিভিন্ন বৈচিত্রময় রেকর্ড ভাঙার কৃতিত্বসমূহ আন্তর্জাতিকভাব লিপিবদ্ধ করার একটি অনন্য প্লাটফর্ম।
এটি একটি বার্ষিক প্রকাশনা। সর্বজন স্বীকৃত তথ্যভিত্তিক এই সংকলনে থাকে মানুষ ও প্রাণীর গড়া নানা রকম রেকর্ড।বেশিরভাগই বিচিত্র। ২৮টি ভাষায় লিখিত এবং ভিডিও ফরম্যাটে গিনেস বুক প্রকাশিত হয়। এটি প্রকাশিত হয় ব্রিটেন থেকে। গিনেস বুক প্রতিষ্ঠার পেছনে একটা মজার ঘটনা রয়েছে।
গিনেস মূলত একটি মদবিশেষের নাম।
সন অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী স্যার #হিউ_বিভার একদিন বন্ধুদের সঙ্গে উইক্সফোর্ডে একটি শিকার পার্টিতে অংশগ্রহন করলেন। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে নানা রকম আলোচনার মাঝে হঠাৎ একসময় স্যার হিউ বন্ধুদের সঙ্গে তর্কযুদ্ধে নেমে গেলেন। যুদ্ধের বিষয় ছিল ইউরোপের সবচেয়ে দ্রুতগামী গেম বার্ডটি -“গোল্ডেন প্লোভার” নাকি “গ্রস”। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের মদ বানানোর প্রতিষ্ঠান আর্থার গিনেস। কারো মতামতই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আর্থার গিনেস।
কোনো সমাধানে আসতে না পারায় অবশেষে বই-পুস্তকের খোঁজে নামলেন তিনি। তবে কোনো বইতেই তথ্যটি পেলেন না।
১০৭ ফ্লিট স্ট্রিট। লন্ডনের এ অফিস থেকেই ১৯৫৫ সালের ২৭ আগস্ট প্রকাশিত হয় গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রথম সংখ্যা। পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ১৯৮। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে এটি সম্পাদনা করেন যমজ ভাই রস ও নোরিশ ম্যাকওয়েরটার। প্রকাশের দিনই বইটি কেনার জন্য হামলে পড়ে উৎসাহী পাঠকরা। ত্রমবর্ধমান চাহিদায় সালে ১৯৭৫ সালে গিনেস বুক প্রকাশিত হয় আমেরিকা থেকে। বিক্রির হারও অবিশ্বাস্য ৭০ হাজার কপি! ওই বছর বড়দিন উপলক্ষে কেনাকাটার সঙ্গে এ বইটিও উপহার ও কালেকশনের জন্য ছিল সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ।
আলোর ফটো তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কে জানতে ক্লিক করো
এই অসামান্য সাফল্যে মুগ্ধ হয়ে প্রকাশক হিউ বিভার মন্তব্য করেন,
“অর্থ উপার্জনের জন্য প্রকাশিত হয় না গিনেস বুক, বরং এর প্রধান লক্ষ্য রেকর্ডকে বিশ্বের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া।” -এই দারুণ জনপ্রিয়তার কারণে সংকলনটি ঘিরে শুরু হয় মাতামাতি। তৈরি হয় অনেক টিভি অনুষ্ঠানও।
প্রথম রচনার পর মালিকানা বদলে গেছে কয়েকবার। এখন গিনেস বুকের মালিকানা #জিম_পেটিসন গ্রুপের হাতে। “রিপ্লে এন্টারটেইনমেন্ট – গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড” নামক গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গিনেসের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একদল উদ্যমী কর্মী কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে, যাদের দায়িত্ব কোথাও কোনো রেকর্ডের খোঁজ পেলে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে সেখানে হাজির হওয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্বরেকর্ড হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেয়া।
Exit mobile version