বিজ্ঞান চলে যুক্তি ও প্রমাণের কাধে চেপে। ঘড়ির কাঁটা মেপে, গণিতের হিসাব মিলিয়ে। হিসাবের হেরফের হলে প্রমাণ মিলবে না। আর প্রমাণ ছাড়া বিজ্ঞানের কানাকড়িও মূল্য নেই। কিন্তু বিজ্ঞানের ইতিহাসের দিকে তাকালে হিসাবটা অনেক ক্ষেত্রে পাই টু পাই মিলে না। অনেক তত্ত্ব সময়ের আগেই জন্ম নেয়, আবার অনেক তত্ত্ব জন্মের পরেও পড়ে থাকে লোকচক্ষুর আড়ালে। কখন কোন বিজ্ঞান রাজ্যের রাজকুমার এসে তাকে ‘অপ্রমাণিত’ নামের রাক্ষসের শিকল থেকে মুক্ত করবে। আবার অনেক তত্ত্ব যুক্তি-তর্ক প্রমাণের দায় মিটিয়েও পরে থাকে ইতিহাসের কানা-গলিতে। উদাহরণ ? ভুরি ভুরি মিলবে।
ইতিহাস তার হিসাব মেলাতে অক্ষম। নইলে নিউটন তার বিখ্যাত সমীকরণ আবিষ্কারের পরেও কেন ত্রিশ বছর লোকচক্ষুর আড়াল করে রাখবেন? কেন এডিংটন মানতে পারেননি বলে চন্দ্রশেখর লিমিট ৫০ বছর ঘুমিয়ে কাটাবে? অ্যারিস্টোটলের নির্বোধ বিরোধিতার কারণে কেন ১৫০০ বছর সূর্যকে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে হবে?
ইতিহাস কী পারবে এসবের হিসাব মিলাতে? সম্প্রতি বিজ্ঞানের এক বড় আবিষ্কারের পর আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে হিসাবের গড়মিলের ব্যাপারটা।
|
লেখকের এই ব্লগটি পড়তে ক্লিক করো এখানে |