কসমিক ক্যালেন্ডার মহাবিশ্বের কালক্রম বোঝার একটি মাধ্যম যেখানে মহাবিশ্বের বর্তমান বয়স ১৩.৮ বিলিয়ন বছরকে একটি বছরে মাপা হয়।
আমরা এখনও সঠিক জানি না এর পুর্বে কি হয়েছে। যদিও বর্তমানের অবজারভেশনে অনেক তথ্য জানা সম্ভব হয়েছে। বিগ হিস্ট্রির শুরুটা হয়েছে বিগব্যাং দিয়ে।
এই কনসেপ্টটি কার্ল সেগানের “The Drogons of Eden” বইটির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয় এবং তার টেলিভিশন সিরিজ “Cosmos” এর মাধ্যমেও। সেগান একটি পৃষ্ঠের ক্ষেত্রের সাথে তুলনা করেন যেখানে কসমিক ক্যালেন্ডার ফুটবল মাঠের সমান এবং মানব ইতিহাস তার হাতের সমান ছোট একটি স্হান দখল করে।
বিগ হিস্ট্রিঃ
বিগব্যাং থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত হওয়া সকল ইতিহাসকে বিগ হিস্ট্রি বলা হয়।
কসমিক বছরঃ
কসমিক ক্যালেন্ডার দেখায় মহাবিশ্বের সময়সীমার সম্পর্ক এবং পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা বারো মাসে, ৩৬৫ দিন, এক বছরে দেখান হয়।
বিগব্যাং জানুয়ারির ১ তারিখে মাঝরাতে শুরু হয় এবং বর্তমান সময় ৩১শে ডিসেম্বরের মাঝরাতের একটু আগের সময়। এই স্কেল এ ৪৩৭ বছর হল প্রতি সেকেন্ড, ১.৫৭৫ মিলিয়ন বছর হল প্রতি ঘন্টা এবং ৩৭.৮ মিলিয়ন বছর হল প্রতি দিন।
মহাবিশ্ববিজ্ঞান(Cosmology)
[১৩.৮- ৪.৪ বিলিয়ন বছর]
ব্যাপ্তিকালঃ
১৩.৮ বিলিয়ন বছরে শুরু – ৪.৪ বিলিয়ন বছর পর্যন্ত
বিগব্যাং থেকে পৃথিবীর প্রথম পাথর সৃষ্টির সময় পর্যন্ত অতিবাহিত সময়কাল কসমিক সময় সারণির প্রায় বিশাল একটা অংশ। এটা প্রাথমিক পর্যায় –
১ই জানুয়ারীঃ
বিগব্যাংঃ (১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে)
মহাবিশ্ব প্রথমে অত্যন্ত ক্ষু্দ্র, ঘনত্বের বস্তু ছিল। যার সম্প্রসারণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের শুরু হয়।
১৪ই জানুয়ারিঃ
গামা রে ব্লাস্টঃ (১৩.১ বিলিয়ন বছর আগে)
এখন পর্যন্ত জানা সবচেয়ে পুরনো গামা রে ব্লাস্ট।
২২শে জানুয়ারিঃ
প্রথম গ্যালাক্সিঃ (১২.৮৫ বিলিয়ন বছর আগে)
প্রথম গ্যালাক্সির ডিক্স গঠিত হয়েছিল বলে জানা যায়।
১৬ই মার্চঃ
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিঃ (১১ বিলিয়ন বছর আগে)
আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এই সময়ে গঠিত হয়েছে।
১২ই মেঃ
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ডিক্স গঠনঃ (৮.৮ বিলিয়ন বছর আগে)
বর্তমান গ্যালাক্সির যে আকৃতি এবং নক্ষত্র গঠনের শুরু হয়েছিল এই ডিক্স গঠনের মাধ্যমে।
২ই সেপ্টেম্বরঃ
সৌরজগতের গঠনঃ (৪.৫৭ বিলিয়ন বছর আগে)
সুর্যের ডিক্স গঠনের সাথে গ্রহ তৈরীর প্রক্রিয়াও শুরু হয়।
৬ই সেপ্টেম্বরঃ
পৃথিবীতে প্রথম পাথরঃ (৪.৪ বিলিয়ন বছর আগে)
পৃথিবীতে পাওয়া প্রথম পাথরের বয়স। যার মাধ্যমে পৃথিবীর বয়স নির্ধারণ করা হয়।
পৃথিবীতে জীবনের বিবর্তন (Evolution of life on Earth)
[৪.১- ০.০৬৫বিলিয়ন বছর]
ব্যাপ্তিকালঃ
৪.১ বিলিয়ন বছরে শুরু – ৬৫ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত
পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪৫০ কোটি বছর। এই সময়ে প্রাণের উদ্ভব হওয়া সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার।
১৪ই সেপ্টেম্বরঃ
প্রথম বায়োটিক জীবনের উদ্ভবঃ (৪.১ বিলিয়ন বছর আগে)
প্রথম জানা বায়োটিক জীবন যা পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ৪.১ বিলিয়ন বছর পূর্বের পাথরে ছিল।
২১শে সেপ্টেম্বরঃ
প্রথম জীবনঃ (৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে)
প্রক্যারিওট্যাসের উদ্ভব।
৩০শে সেপ্টেম্বরঃ
ফটোসিনথেসিসঃ (৩.৪ বিলিয়ন বছর আগে)
খাদ্য তৈরীর প্রক্রিয়ার গঠন।
২৯শে অক্টোবরঃ
অক্সিজেনঃ (২.৪ বিলিয়ন বছর আগে)
বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের উপস্থিত।
৯ই নভেম্বরঃ
জটিল কোষঃ (২ বিলিয়ন বছর আগে)
ইউক্যারিওটিক প্রথম জটিল কোষীয় জীব।
৫ই ডিসেম্বরঃ
বহু কোষীয় জীবঃ (৮০০ মিলিয়ন বছর পুর্বে)
প্রথম বহুকোষীয় প্রাণীর উদ্ভব।
৭ই ডিসেম্বরঃ
সাধারণ জীবঃ (৬৫০ মিলিয়ন বছর পুর্বে)
প্রথম পূর্ণাঙ্গ জীব।
১৪ই ডিসেম্বরঃ
আর্থোপডঃ (৫৫০ মিলিয়ন বছর পুর্বে)
পোকামাকড়দের পূর্বপুরুষ, অ্যারাকনিডসের উদ্ভব।
১৭ই ডিসেম্বরঃ
মাছ জাতীয় প্রাণীঃ (৫০০ মিলিয়ন বছর পুর্বে)
মাছ ও ফটো-এম্পিবিয়ান জাতীয় প্রাণীর উদ্ভব।
২০শে ডিসেম্বরঃ
উদ্ভিদের উদ্ভবঃ (৪৫০ মিলিয়ন বছর পুর্বে)
ভূমিতে উদ্ভিদ/বৃক্ষের উদ্ভব। এবং ওরডোভিসিয়ান-সিলুরিয়ান এক্সটিশন ইভেন্ট এই সময় হয়।
২১শে ডিসেম্বরঃ
পোকামাকড় ও বীজের উদ্ভবঃ (৪০০ মিলিয়ন বছর আগে)
প্রথম পোকামাকড় ও বীজের উদ্ভব হয় এই সময়।
২২শে ডিসেম্বরঃ
অ্যাম্ফিবিয়ানের উদ্ভবঃ (৩৬০ মিলিয়ন বছর আগে)
প্রথম কার্ডাটা প্রাণীর উদ্ভব এবং লেট ডেভোনিয়ান এক্সটিংশন এই সময় হয়।
২৩শে ডিসেম্বরঃ
রেপটাইলের উদ্ভবঃ (৩০০কোটি বছর আগে)
আদি উভচর প্রাণীদের উদ্ভব।
২৪শে ডিসেম্বরঃ
ফার্মিয়ান-ট্রায়াসিক এক্সটিংসনঃ (২৫০ মিলিয়ন বছর পুর্বে)
এই সময় ৫৭% প্রাণী গোষ্ঠী এবং ৮৩% প্রাণী মারা যায়।
২৫শে ডিসেম্বরঃ
ডাইনোসরঃ (২৩০ মিলিয়ন বছর পুর্ব)
প্রথম ডাইনোসরদের উদ্ভব।
২৬শে ডিসেম্বরঃ
স্তন্যপায়ীদের উদ্ভবঃ (২০০ মিলিয়ন বছর পুর্ব)
প্রথম স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব এবং ট্রায়াসিক-জুরাসিক এক্সটিংশন ইভেন্ট হয়।
২৭শে ডিসেম্বরঃ
পাখির উদ্ভবঃ
ডাইনোসর জাতীয় পাখির উদ্ভব।
২৮শে ডিসেম্বরঃ
ফুলের উদ্ভবঃ (১৩০ মিলিয়ন বছর পুর্ব)
প্রথম ফুলের উদ্ভব।
৩০ ডিসেম্বরঃ
ক্রিটাসিয়াস-পেলিজেনি এক্সটিংশনঃ (৬৫ মিলিয়ন বছর আগে)
এই এক্সটিংশনে সকল নন-এভিয়ান ডাইনোসরের মৃত্যু হয়। এভিয়ানদের থেকে বর্তমান প্রজাতির প্রাণী এসেছে।
মানুষের উদ্ভবঃ(Human Evolution)
[৬৫-০.০১২মিলিয়ন বছর]
ব্যাপ্তিকালঃ
৬৫মিলিয়ন বছরে শুরু – ১২ হাজার বিসি পর্যন্ত
মানুষের ইতিহাস প্রায় ২ লক্ষ বছরের। এই সময়টুুকু কসমিক টাইম স্কেলে কিছু মুহুর্ত মাত্র। তাছাড়া বিবর্তনীয় ধারায় মানুষের ইতিহাস আরও পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। খুব কম তথ্য পাওয়া যায় এই সময়টুকুর।
৩০ ডিসেম্বরঃ
প্রাইমেটের উদ্ভবঃ (৬৫ মিলিয়ন বছর আগে)
ম্যামাল জাতীয় প্রাণীদের উদ্ভব।
৩১ডিসেম্বর, সকাল ০৬ঃ০৫ এ-
এপসদের উদ্ভবঃ (১৫ মিলিয়ন বছর পুর্ব)
বানর/শিম্পাঞ্জি জাতীয় প্রাণীর উদ্ভব।
৩১শে ডিসেম্বর, রাত ১০ঃ২৪ এ-
হোমোনয়েডের উদ্ভবঃ (১২ মিলিয়ন বছর আগে)
কাল্পনিক এই প্রাণীর উদ্ভব এই সময় হয়েছে বলে মনে করা হয়।
৩১শে ডিসেম্বর, রাত ১১ঃ২৪, এ-
প্রিমিটিভ মানুষদের উদ্ভবঃ (২.৫ মিলিয়ন বছর আগে)
কাল্পনিক প্রাথমিক বানররুপি মানুষদের উদ্ভব এবং পাথরের ব্যবহার।
৩১শে ডিসেম্বর, রাত ১১ঃ৪৪ এ-
আগুনঃ ( ৪ লক্ষ বছর আগে)
মানুষ আগুন জ্বালাতে শিখে।
৩১ শে ডিসেম্বর, রাত ২৩ঃ৫২ এ-
মানুষঃ (২ লক্ষ বছর)
আধুনিক মানুষের শুরু।
৩১শে ডিসেম্বর, রাত ২৩ঃ৫৫ এ-
বর্তমান বরফের যুগ শুরুঃ (১.১ লক্ষ বছর আগে)
পৃথিবীর বরফের স্তর বাড়তে থাকে।
৩১শে ডিসেম্বর, রাত ২৩ঃ৫৮ এ-
অঙ্কনঃ (৩৫ হাজার বছর আগে)
ভাষ্কর্য ও পাথরে অঙ্কন এই সময়ে শুরু হয়।
৩১শে ডিসেম্বর, রাত ২৩ঃ৫৯ঃ৩২ এ-
কৃষিঃ (১২ হাজার বছর আগে)
মানুষ কৃষি কাজ শুরু করে।
মানব ইতিহাসের শুরু(History begins)
[১২-১হাজার বছর]
ব্যাপ্তিকালঃ
১২ হাজার বিসি শুরু- ২০০০ সাল পর্যন্ত
মানুষের ইতিহাস এ যত কিছু হয়েছে, আমরা যত কিছু বিস্তারিত জানি তা এই ৩১ ডিসেম্বরের ক্ষুদ্র সময়টাতে হয়েছে। মানব ইতিহাসের সবটুকুই এই সময়ে হয়েছে। সকল যুদ্ধ, ধর্ম, ন্যায়, অন্যায় সব এই সময়ে হয়েছে। যা কসমিক স্কেল এর এক ঘন্টাও নয় এক মিনিটের অর্ধেক। মহাবিশ্বের তুলনায় আমরা কতোটা ক্ষুদ্র তা উপলব্ধি করা যায় টাইম স্কেল দেখে। এখন যত টুকু লিখা হবে তা ৩১শে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ রাত ১১টা এবং ৫৯ মিনিট নিয়ে।
৫৯ঃ৩২ মিনিট,
আইস এজ শেষঃ (১২ হাজার বছর আগে)
ইতিহাসের শেষ আইস এজ এটি।
৫৯ঃ৪১ মিনিট,
বন্যাঃ (৮.৩ হাজার বছর পুর্ব)
ডগার ল্যান্ড বা ইউরোপীয় অন্ঞলে বন্যা।
৫৯ঃ৪৬ মিনিট,
তাম্রযুগঃ (৬ হাজার বছর আগে)
তামা ব্যবহার শুরু হয়।
৫৯ঃ৪৭ মিনিট,
ব্রোন্জ যুগঃ (৫.৫ হাজার বছর আগে)
প্রাথমিক ব্রোন্জ যুগ, যোগাযোগের জন্য সংকেত বা ভাষা।
৫৯ঃ৪৮ মিনিট,
সভ্যতার শুরুঃ (৫ হাজার বছর আগে)
মিশরের সভ্যতা, ইন্দু সভ্যতা, সুমেরিও সভ্যতার শুরু।
৫৯ঃ৪৯ মিনিট,
সভ্যতার উপহারঃ (৪.৫ হাজার বছর আগে)
লিখন পদ্ধতির শুরু, চাকার আবিষ্কার, আক্কাদিন সাম্রাজ্যের শুরু।
৫৯ঃ৫১ মিনিট,
মিশরঃ (৪ হাজার বছর আগে)
হাম্মারুবির কোড, মধ্য মিশরের সভ্যতা।
৫৯ঃ৫২ মিনিট,
লোহার ব্যবহারঃ (৩.৫ হাজার বছর আগে)
ব্রোন্জ যুগের অবসান এবং লৌহ যুগের শুরু।
৫৯ঃ৫৪ মিনিট,
মহাপুরুষদের আবির্ভাবঃ (২.৫ হাজার বছর পুর্ব)
গৌতম বুদ্ধ, মাহাভিরা, জরাথ্রুস্ট, কনফুসিয়া, গ্রিস সভ্যতা, এশোক এর সভ্যতা, বেদ লিখা, ইউক্লিডের জ্যামিতি, আর্কিমিডিসের ফিজিক্স, রোমান সভ্যতা।
৫৯ঃ৫৫ মিনিট,
সভ্যতাঃ (২ হাজার বছর পুর্ব)
পটোলেমিক জোর্তিবিদ্যা, রোমান স্রামাজ্য, জিসুস ক্রাইস্ট, ০ এর উদ্ভাব, গুপ্ত সামাজ্য
৫৯ঃ৫৬ মিনিট,
সভ্যতাঃ (১.৫ হাজার বছর আগে)
মুহাম্মাদ (সা:) এর জন্ম, বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের উত্থান, মুসলিম সভ্যতার বিকাশ।
৫৯ঃ৫৮ মিনিট,
সভ্যতাঃ (১ হাজার বছর আগে)
মুঘল সাম্রাজ্য, মারাঠা সাম্রাজ্যের, ক্রুসেড, কলম্বাসের প্রথম আমেরিকা যাত্রা, রেনেসাস।
আর বর্তমান সেকেন্ডঃ
আমি, আপনি আর শেষ ৪৩৭.৫ বছরের সময় চলছে এখন। যেটা বর্তমান সময় বা বিজ্ঞানের যুগ নামে পরিচিত।
ভবিষ্যৎ এর পৃথিবী (Future world)
প্রথম কসমিক বছরের সমাপ্তি এখানেই। এখান আমরা ভবিষ্যতের পৃথিবী দেখব। ভবিষ্যতে কি কি হতে পারে তার একটা আইডিয়া পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় কসমিক ইয়ারে যা হতে পারে-
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ০০ঃ০১,
অ্যানথ্রোপসিন যুগঃ (৫০০ বছর পর)
যখন থেকে মানবসৃষ্ট কারণে পরিবেশের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে, সেই সময়ের হিসাব বা পরিমাপের একক।
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ০০ঃ২৩,
তারকার বিস্ফোরণঃ (১০ হাজার বছর পর)
এন্ট্রারেস তারকার সুপার নোভা বিস্ফোরণ
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ০০ঃ৫০,
চেরেনোবিলঃ (২০ হাজার বছর পর)
চেরনোবিল পুনরায় নিরাপদ স্থান হবে।
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ০০ঃ৫৭,
আরিসিবো ম্যাসেজ পৌছানোঃ (২০হাজার বছর পর)
আরিসিবো ম্যাসেজ M13 ক্লাস্টারে পৌছাবে যা ১৯৭৪ সালে প্রেরণ করা হয়েছিল।
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ০১ঃ৫৪,
নায়াগ্রা ফলসঃ (৫০হাজার বছর পর)
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের পানি প্রবাহ চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ০৩ঃ৪৮,
নক্ষত্রপুঞ্জের পরিবর্তনঃ (১ লক্ষ বছর পর)
সঠিক গতিপথ আকাশের থাকা নক্ষত্রের চিত্র সম্পুর্ন পরিবর্তন হয়ে যাবে।
১ই জানুয়ারী রাত ১২ঃ১১ঃ২৪,
নক্ষত্রের বিস্ফোরণঃ (৩ লক্ষ বছর পর)
পৃথিবী থেকে ৭৫০০ আলোকবর্ষ দুরের তিনটা তারা WR 104 বিস্ফোরণ ঘটবে।
১ই জানুয়ারী, রাত ১২ঃ১৯ঃ০২,
এস্ট্রোরয়েডঃ (৫ লক্ষ বছর পর)
পৃথিবীতে ১ কি.মি. এস্ট্রোরয়েড আঘাত হানার আশংকা।
১ই জানুয়ারী, রাড ১২ঃ৩৮ঃ০৫
পিরামিডঃ (১ মিলিয়ন বছর পর)
গিজার পিরামিড সম্পুর্নরুপে নিশ্চিহ্ন হবে।
১ই জানুয়ারী, ভোর ০৪ঃ৩৪,
মাউন্ট রাসমোরঃ (৭.২ মিলিয়ন বছর পর)
মাউন্ট রাসমোর সম্পুর্নরুপে নিশ্চহ্ন হবে।
১ই জানুয়ারী, বিকাল ০৪ঃ৩০,
আফ্রিকা বিভক্তঃ (২০মিলিয়ন বছর পর)
পুর্ব আফ্রিকা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে।
২ই জানুয়ারী,
ইউরোপ আফ্রিকার সংঘর্ষঃ (৫০ মিলিয়ন বছর পর)
ভুমধ্যসাগর ছোট হয়ে যাবে ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের সংঘর্ষের ফলে।
এগুলো পড়তে ভুলবেন না! “১৯৬” : যে সংখ্যা কাজী নজরুল ইসলামের মতই বিদ্রোহী! হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে মাটি ছাড়াই কৃষিকাজ সম্ভব দীর্ঘ ১২ বছর কোয়ারেন্টিনে (একটি প্লাস্টিক টিউবে) থাকা প্রথম ব্যক্তি- ডেভিড হেটর |
৩ই জানুয়ারী,
শনির রিংঃ (১০০ মিলিয়ন বছর পর)
শনি তার রিং হারিয়ে ফেলবে।
৫ই জানুয়ারী,
এক ঘন্টা বৃদ্ধিঃ (১৮০ মিলিয়ন বছর পর)
পৃথিবীর সময়কাল একঘন্টা বেড়ে ২৫ ঘন্টায় দিন হবে।
৭ই জানুয়ারী,
গ্যালাক্টিক ইয়ার সম্পুর্নঃ (২৪০ মিলিয়ন বছর পর)
সৌরজগত গ্যালাক্সিকে কেন্দ্র করে একবার ঘোরা সম্পন্ন করবে।
৮ই জানুয়ারী,
নতুন মহাদেশঃ (২৫০ মিলিয়ন বছর পর)
নতুম বৃহৎ মহাদেশ তৈরীর সম্ভাবনা।
১৬ই জানুয়ারী,
সুর্যগ্রহণঃ (৬০০ মিলিয়ন বছর পর)
সুর্যগ্রহণ আর কোনোদিন হবে না।
১৭ই জানুয়ারী,
কার্বনডাইঅক্সাইডের সংকটঃ (৭০০ মিলিয়ন বছর পর)
বায়ুমন্ডলে কাবর্ন-ডাই-অক্সাইড এত কম হবে যে সালোকসংশ্লেষণ অসম্ভব হয়ে যাবে এবং সকল জটিল কোষী জীবের মৃত্যু ঘটবে।
৮ই ফেব্রুয়ারী,
মহাসমুদ্রঃ (১বিলিয়ন বছর পর)
পৃথিবীর সাগরের সকল পানি শুকিয়ে যাবে।
১ মার্চ,
মৃত্যুঃ (২ বিলিয়ন বছর পর)
পৃথিবীতে থাকা সকল প্রাণের মৃত্যু।
৯ এপ্রিল,
সংঘর্ষঃ (৩ বিলিয়ন বছর পর)
আকাশগঙ্গা এবং এন্ডোমিডা গ্যালাক্সির মধ্যে সংঘর্ষ।
৯ এপ্রিলঃ
রেড জায়ান্টঃ (৪ বিলিয়ন বছর পর)
সুর্য লাল দানবে পরিনত হবে।
১৬ এপ্রিলঃ
উত্তাপঃ (৪ বিলিয়ন বছর পর)
পৃথিবীর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হবে ১৩৩০° সেলসিয়াস, যা লেড গলিয়ে ফেলতে পারবে।
২৮ জুলাইঃ
পৃথিবীর ধ্বংসঃ (৭.৯ বিলিয়ন বছর)
সুর্য পৃথিবী ধ্বংস করে ফেলবে।
১২ আগষ্টঃ
শ্বেত বামনঃ (৮ বিলিয়ন বছর পর)
সূর্য শ্বেত বামন নক্ষত্রে পরিণত হবে।
৩১ ডিসেম্বরঃ
সৌরজগতের সমাপ্তিঃ (১২ বিলিয়ন বছর পর)
সৌরজগতের সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।
মহাজাগতিক ঘটনা (Cosmic event)
ভবিষতে ঘটা মহাজাগতিক ঘটনাগুলো অনেকটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বগুলোর উপর ভিত্তি করে দেওয়া। এখানে ৩ কসমিক বছর বা ২৯.৪ বিলিয়ন বছর পরের ঘটনাগুলো রয়েছে-
৮ম কসমিক বছর, ১ই এপ্রিল,
গ্যালাক্সি দৃষ্টির বাহিরেঃ (১০০ বিলিয়ন বছর)
গ্যালাক্সিগুলি আলোর চেয়ে বেশি বেগে পরস্পর থেকে দুরে চলে যাবে।
৭২৪৭তম কসমিক বছর, ১৩ ডিসেম্বর,
নতুন তারার সমাপ্তিঃ (১০০ ট্রিলিয়ন বছর পর)
নতুন কোনো তারা তৈরি হবে না।
৭২,৪৭৯তম কসমিক বছর, ১১ জুলাই,
ঠান্ডা সূর্যঃ (১ কোয়াড্রিলিয়ন বছর পর)
সুর্যের তাপমাত্রা -২৬৮° সেলসিয়াস হবে।
৪.৫৪*১০৩৫ তম কসমিক বছর,
ব্লাক হোলের যুগঃ (৩*১০৪৩ বছর পর)
মহাবিশ্বে ব্লাক হোল বাদে আর কোনো বস্তু থাকবে না।
৪.৫৪*১০৯৮তম কসমিক বছর,
কালো যুগঃ (১.৭*১০৯৮ বছর পর)
মহাবিশ্বে শক্তি খুবই কম থাকবে এবং সময় অত্যন্ত বেশি হবে।
১০১৫০০ কসমিক বছর পর,
লৌহ নক্ষত্রঃ
লোহা দিয়ে ফিউশান বিক্রিয়ার দ্বারা শক্তি উৎপন্ন করবে।
৭৮১০১০ কসমিক বছর পরঃ
ব্লাক হোলঃ
ব্লাকহোলের সমাপ্তি বা ধ্বংস হয়ে যাবে।
৫৬১০১০ কসমিক বছর পরঃ
শেষ এন্ট্রপি স্টেটঃ
সর্বশেষ এন্ট্রপি স্ট্রেট। মহাবিশ্বের শেষ অবস্থা।
১০৫৬১০১০ কসমিক বছর পরঃ
বিগব্যাং¡!!!
পুনরায় বিগব্যাং ঘটার সম্ভবনা।
সোর্সঃ
১. https://en.m.wikipedia.org/wiki/Cosmic_Calendar
২. https://www.livescience.com/amp/65471-photo-timeline-big-bang.html