I have fire for you in my mouth, but I
have a hundred seals on my mouth
-Rumi
বিখ্যাত কবি রুমি তার মুখে আগুন নিয়ে ঘুরেন! তারপরেও কি আমরা আগুনকে অপদার্থ বলব? নাকি পদার্থ বলবো? চলো দেখে আসি আগুন আসলে কী, পদার্থ নাকি অপদার্থ?
সভ্যতার শুরু থেকে কিংবা একটি বাচ্চার জন্মের শুরু থেকেই আগুন ব্যবহার করা হয়। এমনকি শিশুরা আগুনের ফুলকি দেখলেই আনন্দিত হয়। স্পর্শ করার জন্যে হাত বাড়িয়ে দেয়।
শীতকালে আমাদের গরিব মানুষজন আগুন ব্যবহার করেছে নিজেকে গরম রাখার জন্য। তাহলে আগুন আসলে কী?এটির উত্তাপ আমরা অনুভব করতে পারি, গন্ধ শুকতে পারি কিংবা এটি যখন অন্য কোনো সাবস্টেন্সকে পুড়ে অনেকসময় মটমট আওয়াজ আসে। সে শব্দও আমরা শুনতে পাই।
আগুনের শিখার কাছাকাছি যদি যাই তাহলে সেটার উত্তাপ আমাদের চোখেও আসে।তবুও সেই শিখা দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু আসলে আমরা কোথায় তাকিয়ে থাকি?? এই শিখা গুলো কঠিন নয় কিংবা তরলও নয়। তারা অনেকটা গ্যাসের মত, আবার পুরোপুরি গ্যাসও নয়।
আমাদের ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে আগুন প্লজমা। কিন্তু আগুনের মতো কিংবা অন্যান্য পদার্থের মতো প্লাজমা আমাদের পৃথিবীতে নরমালি অবস্থান করে না। এটা শুধুমাত্র তখনই গঠিত হয় যখন গ্যাস গুলো ইলেকট্রিক ফিল্ড দ্বারা প্রভাবিত হয় অথবা যদি হাজার ডিগ্রিতে উত্তপ্ত করা হয়। তখনই প্লাজমা পাওয়া যায়।
স্মার্ট সময়ের ৫টি স্মার্ট এপ -পর্ব ১ |
তাহলে আগুন যদি কঠিন, তরল, গ্যাস কিংবা প্লাজমা না হয় তাহলে আর কী বাকী থাকে? আগুন আসলে কী? আগুন আসলে পদার্থ নয়। এটা আমাদের চোখের একটা অভিজ্ঞতা এবং আমাদের চোখ দিয়ে যখন আমরা আগুনকে দেখি আমরা কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া দেখতে পাই। যেটাকে বলা হয় combustion .
এটা অনেক পাতার মতো। পাতা যেমন বসন্তে রং পাল্টায়। আবার ফল যখন পাকে তখন তার রং পরিবর্তিত হয়। সুন্দর গন্ধ পাওয়া যায়।অনুরূপ ভাবে আগুনও আমাদের চোখে অনেকগুলো অনুভূতি একই সঙ্গে সৃষ্টি করে।
কোন আগুন গভীর কোন আগুণ হালকা।সেটা হয় মূলত অভিকর্ষের কারণে। বেশি উত্তপ্ত শিখার বর্ণ সাধারণত সাদা এবং নীল হয়। আবার আগুনের শিখার বর্ণ কিরূপ হবে সেটা মূলত যে জিনিসটা পুড়ছে সেটার মলিকিউল গুলা কী ধরনের সেটার উপর নির্ভর করে।
বাতাস আসলে কী? |
আবার যখন আগুন কে পুড়ানো হয় তখন কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং পানির একই সাথে combustion ঘটে।শিখার উপরের দিকটা কম ঘনত্বের হয় এবং সেটা আরও প্রসারিত হয় এবং হালকা হয়। আর এই জিনিসটা হয় মূলত অভিকর্ষের কারণে।
এতসব পড়ে যা বুঝলাম আগুন আমাদের চোখের অনুভূতি। এই অনুভূতিটা মূলত হয় combustion এর কারণেই। এটা করা হয় তেল, অক্সিজেন এবং তাপের মাধ্যমে।
এত কিছু বলার একটাই উদ্দেশ্য। সেটি হল আগুনকে অপদার্থ প্রমাণ করা!! কিন্তু আমাদের একটু অসাবধানতায় আগুন কিন্তু অনেক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে পারে। আগুন অপদার্থ হলেও এটি নিয়ে কাজ করতে হবে সাবধানে।