DSLR ক্যামেরা এই নামটি হয়তো অনেকেই শুনেছেন। বর্তমান যুগে স্মার্ট না ,এরকম নাম শুনে নাই, এরকম মনে হয় কোন মানুষই নাই। আমরা প্রতিনিয়ত অনেকে এই ক্যামেরা ব্যবহার করি কিন্তু জানিনা সেটা কি। আবার অনেকেই আছে যে ক্যামেরাটি কিনবেন তা জানার খুব কৌতুহল জেগেছে। আগেকার যুগের ছোট ক্যামেরাগুলো আর এখন নাই, এখন এসব ক্যামেরা ব্যবহারই হয়না। বর্তমান যুগে সবাই DSLR ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত, সবাই ব্যবহার করে। ডিজিটাল ক্যামেরা আস্তে আস্তে দিন হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে ইউটিউবে ইন ফটোগ্রাফার ভিডিওটি সবাই DSLR ক্যামেরা ব্যবহার করছে। শুধু তাই নয়, অনেক বড়বড় মাল্টিমিডিয়া এই ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজ করে থাকে। অতএব বর্তমান যুগে এর বিকল্প আর কিছু নেই।
ডিজিটাল ক্যামেরার মান হিসাব করা হয় মেগা পিক্সেল দিয়ে, যত বেশি মেগা পিক্সেল তত বেশি বড় ছবি ধারণ করার ক্ষমতা। প্রথমে দাম বেশি থাকলেও ফিল্ম ক্যামেরা থেকে এর অনেক দ্রুত দাম কমছে, এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ফিল্ম লাগেনা এবং সাথে সাথে স্ক্রিনে ছবি দেখা যায় বলে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি ফিল্ম ক্যামেরাকে জাদুঘরের পণ্যে পরিণত করতে পারে DSLR!
কি করে কাজ করে?
পূর্ণরূপ হচ্ছে ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স। অতএব আপনি বুঝতে পেরেছেন যে, ক্যামেরা টা কি বা আপনি যদি শুনে থাকেন, তাহলে এখনো আপনি অনুমান করতে পারবেন যে, আসলে এই ক্যামেরাটা কি। DSLR শব্দটির মূল প্রযুক্তি আসলে SLR। এর কার্যকারিতার সাথে D এর অপরিহার্য সম্পর্ক নেই। যে পদ্ধতিতে ছবি তোলার আলোটা আসে বা ধরা হয় তা হচ্ছে SLR, আর D বলতে ডিজিটাল বুঝায় কেননা আলো ধরার পর ইমেজ প্রসেস করে স্ক্রিনে ছবি রূপে দেখানোর পুরো পদ্ধতিটাই ডিজিটাল। এবার আসা যাক এর কার্যপদ্ধতি নিয়ে।
i. আলো লেন্স দিয়ে প্রবেশ করে ক্যামেরার ভেতরে ঢুকে।
ii. ক্যামেরার ভেতরে আলো গিয়ে পাশপাশি ৪৫ডিগ্রী এঙ্গেলে বসানো আয়নায় পড়ে এবং সেখান থেকে ক্যামেরার ভেতরে উপরের দিকে থাকা Matte Focusing Screen পেরিয়ে কনডেনসারের মধ্যে দিয়ে পেন্টাপ্রিজমে প্রবেশ করে।
এই ব্লগ পড়তে ভুলবেন না! কোয়ান্টাম কম্পিউটার :ভবিষ্যত বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় বিস্ময়!(১) |
iii. পেন্টাপ্রিজম হচ্ছে ভিউফাইন্ডের অগ্রভাগের উঁচু দিকটার ভেতরের অংশ, যার ভেতর মোট পাঁচটা দেয়াল থাকে যার মাঝে দুটি আয়না। এই আয়নাগুলোতে আলো কনডেনসার থেকে প্রবেশ করে প্রতিফলিত হয়ে ভিউফাইন্ডার দিয়ে বের হয়। যার দরুন ভিউফাইন্ডারে চোখে রাখলে একদম ঠিক যে এঙ্গেলে, যে ফোকাসে ক্যামেরা ছবিটা নিবে সেই অবস্থাটাই আমরা দেখতে পাই।
IV. আমরা ছবি তোলার জন্যে বাটনে ক্লিক করি, তখনি সামনের আয়নাটা উপরে উঠে যায় আর লেন্স থেকে আসা আলো সেই ক্ষুদ্রসময়ে সরাসরি পেছনের দিকে পড়ে। ঐ একই সময়ে পেছনে থাকা শাটার পড়ে গিয়ে সেন্সর উন্মুক্ত হয়। যতটুকু টাইমিং সেট আপ বা শাটার স্পীড নির্ধারণ করে রাখা হয়, ঠিক ততটুকু সময়ের জন্যে তা খোলা থেকেই আবার শাটার নেমে যায়।
এরপর পরই সেন্সরে যাওয়া অসংখ্য, অগণিত আলোর কণা প্রতিটা ক্ষুদ্রতম অংশে পিক্সেল বাই পিক্সেল হিসেবে তড়িৎ উপাত্তরুপে প্রক্রিয়াজাত (process) হয় এবং তা স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়।
DSLR ব্যবহার করে কি কি করা যায়?
বর্তমানের ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি ক্যাপচার করা যায় এবং তাতে অটো ফোকাস এবং বিভিন্ন এ্যানিমেশন যোগ করা যায়। ডিএসএলআর আসার পর থেকে হাই রেজুলেশন এর ছবি এবং ছবিতে ফোকাস এসকল সবকিছুই করা যায়। এই ডিএসএলআর ক্যামেরা গুলোর মাধ্যমে এবং ডিএসএলআর ক্যামেরার এর লেন্স ব্যবহার করে অনেক দূরের ছবি কাছে এনেও এটি HD আকারে ছবি ক্যাপচার করা যায়।
সাধারণত, সকল ইউটিউবার এবং ফটোগ্রাফার এর জন্যেই এই ক্যামেরাটি ব্যবহার করে চলে আসছেন। আশা করি বিস্তারিত এই ক্যামেরাটি কি এমন কি কাজ করে এই মুহূর্তে জানতে পেরেছেন। এই ক্যামেরাটা নিয়ে যদি আরো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আপনি কমেন্ট করতে পারেন।