মহাকাশ বিদ্যা নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল সেই পিচ্চিকাল থেকেই। যত বড় হতে থাকলাম আগ্রহটা যেন আরো কয়েক গুনে exponentially বাড়তে লাগলো। এই Astronomy এর একটা ভালোলাগার বিষয় হচ্ছে Black-hole ( ব্ল্যাকহোল ). “ব্ল্যাকহোল” হচ্ছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় রহস্যগুলোর মদ্ধে একটা মাথা খারাপ করা এক জিনিস।
ব্ল্যাকহোল কি ? ব্ল্যাকহোল জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে মহাকর্ষের কী সম্পর্ক? ব্ল্যাকহোলের সাথে আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের কী সম্পর্ক? ব্ল্যাকহোল কি টাইম ট্রাভেল ঘটাতে পারে? ব্ল্যাকহোলের সাথে ওয়ার্মহোলের কী সম্পর্ক? আলোর মতো এমন গতিমান জিনিস কিভাবে ব্ল্যাকহোল নামক গর্তে আটকা পড়ে? … এরকম আরো হাজার খানেক প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনেই আছে। আমি Just আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান হতে এই সম্পর্কে কিছু লিখতে যাচ্ছি। এক পোস্টে সব লিখতে গেলে পোস্টটি হাতি সাইজের হয়ে যাবে বিধায় পার্ট আকারে প্রকাশের চেষ্টা করছি। আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর পেতে সমস্ত পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রণ রইল…
আমরা সবাই তো জীবনে একবার হলেও coin Toss করেছি/করতে দেখেছি right? কত বিচিত্র ঘটনাই না ঘটে এর মাধ্যমে তাই না? কোনো একটা decission নেয়ার জন্য আমরা কত উদ্বেগ এর সাথেই না toss করি। কিন্তু অভিকর্ষ সম্পর্কে একটা জনপ্রিয় কথা আছে-> What Goes Up Must Come Down। অর্থাৎ উপরে উঠলে নীচে নামতেই হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে… “উপরে ছুড়লে নীচে কেন আসে?” উত্তর simple, পৃথিবীর অভিকর্ষ। আরও জোড়ে ছুড়লে? আবার ফিরে আসবে তবে একটু দেরিতে। আরও জোড়ে? ফিরে আসবে। কিন্তু সবকিছুরই তো সীমা আছে তাইনা? (সবসময় অবশ্য না। কারণ তাহলে গণিতবিদরা আপত্তি করবে!) মনে করি, টস-কারীর উপর থোর ( Thor ) এর শক্তি ভর করেছে। তিনি কয়েনকে এমন জোড়ে ছুরলেন যে তা পৃথিবীর অভিকর্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলে গেল। এটাও কি সম্ভব?
হ্যা obviously সম্ভব। ভূপৃষ্ঠ থেকে খাড়া উপরে কোনো বস্তুকে ১১.২ কি.মি. প্রতি সে. এ নিক্ষেপ করলে তা অভিকর্ষকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মহাশূণ্যে চলে যাবে। এই বেগকে বলা হয় “মুক্তিবেগ”। রকেট কিংবা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সময় এ বিষয়টা মাথায় রাখা হয়। আমাদের সূর্যের মুক্তিবেগ ৬১৭.৫ কি.মি. প্রতি সে.!! যদিও সুর্য একটা সাধারণ তারা। এর চেয়েও huge huge তারা রয়েছে আমাদের গ্যালাক্সিতে। মুক্তিবেগ নির্ভর করে, ১। বস্তুর ভর এবং ব্যাসার্ধের উপর। ২। বস্তুর ঘনত্বের উপরও । ভর বাড়লে মুক্তিবেগ বাড়ে এবং ব্যাসার্ধ বাড়লে মুক্তিবেগ কমে। ভর বাড়লে মহাকর্ষ তো বাড়বেই ফলে বস্তুটি নিজের মধ্যেই সংকুচিত হবে।
এখন একটু ভাবি, একটা নক্ষত্রের ভর এতোই যে এর মুক্তাবেগ আলোর বেগের চেয়েও বেশি! অর্থাৎ নক্ষত্র থেকে আলো কখনই বেড়োতে পারবেনা। আচ্ছা আবার একটু ভাবি, যে আমরা দেখি কেন? কোনো বস্তু থেকে যখন আলো আমাদের চোখে এসে পড়ে তখনই আমরা বস্তুটি দেখি। এখন যদি এমন হয় যে, কোনো নক্ষত্র থেকে আলোও বেরিয়ে আসতে পারেনা তাহলে কি হবে? এক্ষেত্রে আমরা নক্ষত্রকে দেখবোনা। একেই বলা হয় ব্ল্যাকহোল (Blackhole) বা কৃষ্ণগর্ত। কিন্তু এটা কি সম্ভব যে, এমন নক্ষত্র শুরু থেকেই exist করে? তা নয়, Blackhole এর পর্যায়ে আসতে হলে একটি নক্ষত্র কে অনেক ত্যাগ এর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ঐ যে বলে না, “ত্যাগ এর পরেই ভোগ এর সুযোগ আসে” ( না না এইটা কোনো মহৎ ব্যাক্তির উক্তি নয় বরং এই মাত্র মাথা থেকে বের করা কথা )। ঠিক তেমন ভাবেই ব্ল্যাকহোল ও জিবনের শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভোগ-বিলাস শুরু করে।
So,ব্ল্যাকহোল কি তা আজ briefly জানা হলো। এই ব্ল্যাকহোল এর উৎপত্তি এবং জীবন চক্র নিয়ে পরবর্তী ব্লগে এ আলোচনা করা হবে…( To be continued )
Shanto is currently studying in Computer science and engineering(CSE)at University of Rajshahi.Enthusiastic and tech freak Shanto qouted,”Be unique to be a leader.”