গত দুই পর্বে আমরা ব্ল্যাকহোল কি এবং এই ব্ল্যাকহোল এর কিছু টাইপ এর জন্ম নিয়ে জেনেছিলাম। পাঠক সমাজের বিরক্তিকর মধুর বানী( গালি ) যাতে না শোনা লাগে তাই সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল এর পরিচিতি পর্বটা গত পর্বে স্কিপ করেছিলাম। তো আর দেরি না করে চল “সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল” সম্পর্কে টুপুস করে জেনে নেই।
কেন “সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল” নিয়ে আলাদা ভাবে জানতে হবে? কারনটা হচ্ছে “সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল” অন্যান্যদের চেয়ে আলাদা। ওইযে বলে না, “Be Unique to be a Leader” ব্যাপারটা অনেকটা এইরকমই। গত পর্বে আমরা যে ব্ল্যাকহোল এর সাথে পরিচিত হয়েছিলাম তাদের বলা হয় stellar blackhole যারা কিনা সূর্যের ভরের ৩ থেকে কয়েক গুন পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে “সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল”দের এক মিলিয়ন তারার ভর এমনকি এক বিলিয়ন তারার ভরও থাকতে পারে। সুপার মেসিভ ব্ল্যাক হোলরা কোনো গ্যালাক্সির মিলিয়ন বা বিলিয়ন তারাকে একত্রে ধরে রাখে। এদের জন্ম প্রক্রিয়াটাও সবার চেয়ে আলাদা। মূলত যখন একাধিক ব্ল্যাকহোল একত্রিত হয় তখন এদের উৎপত্তি হয়। আর এরা একেকটা গ্যালাক্সিকে সাথে নিয়ে চলে (কল্পনাঃ ঠিক যেমন টা এলাকার কোনো প্রভাবশালি তার সাথে অনেক সাঙ্গু-পাঙ্গু নিয়ে চলে)। প্রত্যেকটা বড় বড় গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি করে সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল থাকে। আমাদের গ্যালাক্সিতেও কিন্তু একটি সুপার মেসিভ ব্ল্যাক হোল আছে। সেটির নাম Sagittarius A* , এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল প্রায় ৪৪ বছর আগে।
আমাদের অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে তা হচ্ছে ব্ল্যাকহোল হচ্ছে vacuum cleaner মত। যেটা কিনা তার সামনে যা থাকে তাকে শুষে নেয়। ব্যাপারটা মোটেও কিন্তু এমন নয়। এটাকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, পানিভর্তি Bath tub এর plug খুলে দিলে পানি যেমন ডিরেক্ট ড্রেইন না পরে গিয়ে ঘুরতে ঘুরতে গিয়ে পরে ঠিক একইভাবেই ব্ল্যাকহোল এর আশেপাশের বস্তুগুলোও ব্ল্যাকহোল কে কেন্দ্র করে ঘুরতে ঘুরতে তার মদ্ধে গিয়ে পতিত হয়। আর ঠিক এজন্যই আমাদের সৌরজগতে সূর্যের জায়গায় যদি কোন ব্ল্যাকহোলকে বসিয়ে দেওয়া হয় তাও solar system এর খুব একটা সমস্যা হবে না আলো পাওয়া ছাড়া । ব্ল্যাকহোল এর পাশে কিছুটা আলো দেখা যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আলো কত্থেকে আসে তাও আবার ব্ল্যাকহোল এর পাশ হতে? এটাকে আসলে বলা হয় “Accretion disk”. যেহেতু ব্ল্যাকহোল এর সবচেয়ে নিকট যা থাকে তার উপর ক্রিয়া বেশি হয় তাই তাদের( গ্যাসগুলোর ) বেগও অত্যন্ত বেশি হয় এবং এর ফলে Accretion disk এর ওই অংশটুকু অনেক এনার্জি ছেড়ে দেয় যার ফলে ওইখানে আলোর উৎপত্তি হয়। এবং এর তিব্রতা এতই বেশি হয় যে সেই পুরো গ্যালাক্সির সব তারাগুলো একত্রিত হলেও ততটা আলোর উৎপত্তি হয় না।
এবার একটু মজার কথা বলি। আমাদের এই সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল যতই শক্তিশালী হোক না কেন আকারের দিক থেকে কিন্তু তারপরও ছোটই। যদিও stellar blackhole হতে এরা আকারে বড় হয়ে থাকে। একটা কয়েন কে যদি পৃথিবীর সাথে তুলনা করা হয় তবে কয়েনটিকে আপাত দৃষ্টিতে যেমন লাগবে ঠিক তেমনভাবেই একটা গ্যালাক্সির সাথে যদি এই ব্ল্যাকহোল কে কম্পেয়ার করা হয় তবে এমনি হবে। অর্থাৎ বড় আকারের সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল দেখতে হলে আমাদেরকে বড় বড় গ্যালাক্সির মদ্ধে সন্ধান চালাতে হবে। ব্ল্যাকহোল নিয়ে কথা বলতে গেলে চলে আসে Event horaizon, hawking radiation ইত্যাদি ইত্যাদি। যাইহোক নেক্সট আলোচনা নাহয় এটা নিয়েই থাকবে…
Shanto is currently studying in Computer science and engineering(CSE)at University of Rajshahi.Enthusiastic and tech freak Shanto qouted,”Be unique to be a leader.”