Paradox. এই শব্দটি আমরা তখন ব্যাবহার করি যখন কোনো ঘটনা স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকলেও একটা অস্বাভাবিকতার সৃষ্টি হয়। এই ব্যাপারগুলোর সলিউশন বের করার জন্য পৃথিবীর জ্ঞানী-গুণী ব্যাক্তিরা সবসময় তাদের মাথার চুল ছিঁড়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত অনেক অনেক প্যারাডক্স বের হয়েছে যেমন, ১. ACHILLES AND THE TORTOISE ২. THE BOOTSTRAP PARADOX ৩. GALILEO’S PARADOX OF THE INFINITE ইত্যাদি ইত্যাদি। ঠিক তেমনই আমাদের এই ব্ল্যাকহোলকে ঘিরেও একটা বড়সড় প্যারাডক্স আছে আর তা হচ্ছে INFORMATION PARADOX. গত পর্বে আমরা হকিং রেডিয়েশন কি তা জেনেছিলাম। মূলত স্টিফেন হকিং যখন তার এই তত্ত্ব প্রকাশ করেন তখনি এই প্যারাডক্স এর জন্ম নেয় যা কিনা ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে ধারনা অনেকটাই বদলে দেয়। তার এই তত্ত্ব অনুযায়ী যেহেতু হকিং রেডিয়েশন এর মাধ্যমে ব্ল্যাকহোল তার ভর হারাতে থাকে সেই হিসেবে ব্ল্যাকহোলে পতিত বস্তুর কোয়ান্টাম তথ্যও চিরতরে হারিয়ে যায়।
কিন্তু ফিজিক্সের নীতি অনুযায়ী ব্যাপারটা সাংঘর্ষিক। আমরা যেমনটা জানি যে, “এনার্জি কখনও ধ্বংস হয় না। এটি এক রূপ থেকে অন্য রূপে কনভার্ট হয়।” ঠিক একই ব্যাপারটা তথ্য(ইনফরমেশন) এর জন্যও সত্য।
ধরা যাক আমার কাছে একটা ডাইরি আছে যেটাকে আমি যদি এখন পুড়িয়ে ফেলি তাহলে ডাইরির মধ্যে যে ইনফরমেশন গুলো ছিল সেগুলো আমরা আর পাব না এক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি ইনফর্মেশন ধ্বংস হয়ে গেছে কিন্তু আসলে ইনফরমেশন ধ্বংস হয়নি ইনফরমেশন এখনো তার আগের জায়গাতেই আছে শুধুমাত্র এটি পড়া যাচ্ছে না আগের মত এই যা। আমরা যদি সেই ডায়েরি পোড়াকালীন এবং পরবর্তী সব এলিমেন্ট গুলোকে সঠিক পরিমাপের সঠিক মাত্রায় আবার একত্রিত করি তাহলে দেখা যাবে আমরা পুনরায় ডাইরিটা পড়তে পারছি।
=> সবার মাথায় প্রশ্ন এখন একটাই “আচ্ছা তো এইসবের সাথে নাদুসনুদুস ব্ল্যাকহোলের কি সম্পর্ক?” >> সম্পর্ক আছে। আর এই সম্পর্কটাই হচ্ছে সমস্যা। কারন ব্ল্যাকহোল সব কিছুকে একই টাইপের পদার্থে পরিণত করে ফেলে। যা দেখে বুঝার উপায় থাকে না যে ওই বস্তুটির আগের চেহারা কেমন ছিল। ব্ল্যাকহোল এই 3d ইনফরমেশন গুলোকে 2d তে পরিণত করে ফেলে অর্থাৎ সময় নামক ৩য় মাত্রাটি সেখানে থাকে না। আর এই ইনফরমেশন গুলো ইভেন্ট হরাইজন এ জমা থাকে।
কিন্তু বিপত্তিটা ঠিক এখানেই কারন হকিং দাদু বলে গেছেন যে এই ইভেন্ট হরাইজন থেকেই রেডিয়েশন বের হয় যা কিনা সেখান থেকে কিছু পরিমাণ ইনফরমেশন নিয়ে বেরিয়ে আসে আর বাকিটা সিঙ্গুলারিটির মধ্যে পড়ে যায়। আর এভাবে চলতে থাকলে একসময় ব্ল্যাকহোল তার ভর হারাতে হারাতে নিজেই হারিয়ে যাবে এবং সাথে সাথে হারিয়ে যাবে আমাদের ইনফরমেশনও। এই বাকি ইনফরমেশন কোথায় যাবে এটাই জন্ম দেয় প্যারাডক্সটির। কারন একটাই তা হচ্ছে আমরা জানি, ইনফো হারায় না।
এই ইনফরমেশন প্যারাডক্স নিয়ে এখনও বিজ্ঞানিরা মাথার চুল ছিঁড়ে যাচ্ছেন। এই প্যারাডক্স সল্ভের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন টার্ম সামনে চলে আসে তা হচ্ছে স্ট্রিং থিওরি, প্যারালাল ইউনিভার্স, হলগ্রাফিক ইউনিভার্স ইত্যাদি ইত্যাদি। যাইহোক এই ব্ল্যাকহোলকে যদি ভালভাবে বুঝতে পারা যায় তবে হয়ত আমাদের এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে ধারনাটা অনেকটাই পাল্টে যাবে।
Shanto is currently studying in Computer science and engineering(CSE)at University of Rajshahi.Enthusiastic and tech freak Shanto qouted,”Be unique to be a leader.”