ভিপিএন এর প্রধান কাজ হচ্ছে এটা আপনার আইপি এড্রেস কে হাইড করে দেয়। ভিপিএন এপ ইন্সটল করার পর এটা ডিভাইসটিকে সেই ভিপিএন সার্ভার এর সাথে কানেক্ট করে দেয়।
আপনার ডিভাইসে থাকা ভিপিএন এপ এবং ভিপিএন সার্ভার এর মধ্যে যে কানেকশন তৈরি হয় তাকে এনক্রিপ্টেড ভিপিএন টানেল ও বলা হয়, কারন এর মাধ্যমেই আপনার ডাটাগুলো এনক্রিপ্টেড হয়ে ভিপিএন সার্ভারে পৌছায় এবং সেই এনক্রিপ্টেড ডাটা শুধু মাত্র ভিপিএন এপ এবং সার্ভার ই ডিক্রিপ্টেড করতে পারবে আর কেউ না ,যখন আপনি কোন ওয়েবসাইট ব্রাউস করতে চাইবেন তখন সেই ব্রাইসিং রিকোয়েস্ট আপনার ভিপিএন এপ আপনার ISP হয়ে তারপর ভিপিএন সার্ভারে পাঠাবে।
কিছু হ্যাকার আপনার ব্রাউসিং এর সময় যখন ডিভাইস এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে তথ্যের আদানপ্রদান হয় তখন এর পথে থেকে আপনার ডাটা চুরি করে নেয়, যেমন আপনি কোন সাইটে ক্রেডিট কার্ড নাম্বার দিচ্ছেন, তখন ডিভাইস থেকে যখন এই ডাটা সাইটে যাচ্ছে এর পথে তাঁরা এটা চুরি করে নিতে পারে(এ ধরনের হ্যাকিং কে বলে Man In The Middle বা MITM), তবে ভিপিএন ইউসে যেহেতু ডাটাগুলো সরাসরি সাইটে যায় না এবং ডিভাইস থেকে ভিপিএন সার্ভারে যাচ্ছে এনক্রিপ্টেড হয়ে যা আর কেউ ভেঙ্গে দেখতে পারবে না তাই এক্ষেত্রে আপনার ডাটা চুরি হওয়া মানে হ্যাকড হওয়া প্রায় অসম্ভব।
তাছাড়া ভিপিএন রিমোট হ্যাকিং থেকেও রক্ষা করতে পারে, দূর থেকে ডিভাইস বা কম্পিউটার হ্যাক করার জন্য প্রধানত ব্যাবহার করা হয় এর আইপি এড্রেস, যেহেতু ভিপিএন আইপি হাইড করে রাখে তাই হ্যাকার রা তা না জানায় রিমোট হ্যাকিং এর সম্ভাবনা কমে যায় তবে সে আপনার আইপি আগে থেকেই জানলে অন্য কথা।
এছাড়া অনেক সময় হ্যাকার রা আপনি কোন সাইট ব্রাউস করার সময় অন্য সাইটে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করে বা কিছু ক্ষেত্রে নেটওয়ার্কে ট্রাফিক সৃষ্টি করে যেন আপনার তখন ডিভাইস ব্যাবহার করাই বিরিক্তিকর বা অসম্ভব হয়ে পরে, এটাও আইপি না জানলে তাঁরা সহজে পারবে না, সুতরাং এক্ষেত্রেও ভিপিএন আপনাকে রক্ষা করবে।
কিছু হ্যাকার আছে যারা আরো এডভান্স,তারা বিভিন্ন পাবলিক স্পেইসে ফেক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি করে , মানুষ ফ্রি ওয়াইফাই পেয়ে মজা করে চালানো শুরু করে দেয়, তখন সেই নেটওয়ার্ক হয়ে আপনি যত ডাটা আদানপ্রদান করেছেন সেগুলতে তাঁরা নজর রাখে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে তা নিয়ে নেয় মানে আপনি হ্যাকড। কিন্তু আগেই বলেছিলাম ভিপিএন থাকলে আপনার ডাটাগুলো সরাসরি আদানপ্রদান হয় না, ডিভাইস থেকে এনক্রিপ্টেড হয়ে ভিপিএন সার্ভারে যায় তার পর ভিপিএন সার্ভার কাঙ্ক্ষিত সাইটে পাঠায়। তাই হ্যাকার এর ফেক ওয়াইফাই জানবে কিছু এনক্রিপ্টেড ডাটা ভিপিএন সার্ভারে গিয়েছে যা ডিক্রিপ্টেড করা সম্ভব না তার দ্বারা। তাই এক্ষেত্রেও ভিপিএন আপনাকে বাঁচাবে।
কিন্তু হ্যাক শুধু এভাবেই হয় না, ম্যালওয়ার(বিভিন্ন করাপ্টেড ফাইল এবং এপ) এবং ফিসিং(লোভনীয় বিজ্ঞাপন ও মেসেজ দিবে,সেখানে গেলেন মানে ফাদে পরে গেলেন হ্যাকার এর) এর মাধ্যমেও হয়, সেক্ষেত্রে ভিপিএন আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে ব্যাবহার করতে পারেন এন্টিম্যালওয়ার সফটওয়্যার এবং আপনার কমনসেন্স।