আমরা প্রায় সবাই জানি, গুগল গত নভেম্বর ১১, ২০২০ তারিখে ঘোষণা দিয়েছে, গুগল ফটো তে ছবি রাখার জন্য তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হবে আগামী বছরের জুন ১, ২০২১ থেকে। তারপর থেকে আমরা অনেকে চিন্তায় পড়ে গেছি, আমাদের প্রতিদিনের তোলা ছবি আমরা কোথায় রাখবো? যদি অন্য কোনো অনলাইন ড্রাইভে রাখি তাহলে সেটা কতটা ঝুকিমুক্ত হবে?
আজকে আমরা জানবো এমন কিছু ড্রাইভ সম্পর্কে যেখানে আমরা ফ্রি তে ছবি রাখতে পারবো।
১। স্লাইডবক্স (Slidebox)
এটি একটি ফটো সংরক্ষণাগার অ্যাপ। এখানে আপনাকে অনেকগুলো কাজ নিজে করতে হবে। গুগল যেখানে ছবি নিয়ে নিজে থেকে অ্যালবাম তৈরি করে তা বিভিন্ন ধরণ হিসেবে আপনাকে দেখাতো। স্লাইডবক্স গুগলের নিজে থেকে তৈরি ছবি থেকে অ্যালবাম এ বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ বাদ দিয়েছে।
পাওয়া যাবেঃ এন্ড্রয়েড এবং আইওএস।
২। অ্যাডোব ব্রিজ (Adobe Bridge)
আমরা জানি, অ্যাডোবি ব্যয়বুহুল সফটওয়্যার উৎপাদনের জন্য পরিচিত। তবে অ্যাডোবি ব্রিজ একটি বিনামূল্যের ছবি ব্যবস্থাপনা অ্যাপ কম্পিউটার ব্যবহারের জন্য। এখানে আপনি উন্নত মানের কিছু সুবিধা পাবেন, যেমনঃ রঙ ব্যবস্থাপনা, পূর্ণ সাপোর্ট, রিসাইজিং, এইচডিআর সাপোর্ট এবং জলছাপ দেওয়া।
এই অ্যাপ সাধারণত পেশাদার ফটোগ্রাফারদের জন্য যারা ডিজিটাল ক্যামেরা এবং ডিএসএলআর ব্যবহার করে।
পাওয়া যাবেঃ উইন্ডোজ এবং ম্যাক।
৩। পাইউইগো (Piwigo)
পাইউইগো ছবি ব্যবস্থাপনা অ্যাপ সাধারণত পেশাদার এবং ছোট ব্যবসার জন্য। আপলোড হওয়া ছবি শ্রেণীবদ্ধ করা যায় লেখক, ঠিকানা এবং বিভিন্ন ট্যাগ অনুসারে। অ্যাপ নিজে থেকে আলাদাভাবে অ্যালবাম তৈরি করতে পারে। এমনকি আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপস থেকে ছবি এখানে নিয়ে আসতে পারবেন।
এখানে আপনি আপনার ছবি ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। এখানে আপনি আরো কিছু টেম্পলেইট, প্লাগইন, এবং বৈশিষ্ট্য পাবেন যা আপনার প্রেজেন্টেশনে সাহায্য করবে। আপনি ছবিতে মন্তব্য, রেটিংস নিতে পারবেন।
পাওয়া যাবেঃ এন্ড্রয়েড এবং আইওএস, ওয়েব এবং সেলফ-হোস্টেড।
৪। অ্যামাজন প্রাইম ফটো (Amazon Prime Photos)
এই অ্যাপ শুধুমাত্র যারা প্রাইম ভিডিও সাবস্ক্রিপশন করেছে তারা ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া অন্য কেউ ব্যবহার করতে চাইলে তাকে প্রতিবছর ৫৯.৯৯ ডলার দিতে হবে আনলিমিটেড স্টোরেজের জন্য।
পাওয়া যাবেঃ এন্ড্রয়েড এবং আইওএস।
এগুলো পড়তে ভুলবেন না !!! |
৫। ফ্লিকার (Flicker)
ফ্লিকার নতুন কোনো নাম না, আমরা অনেকেই ফ্লিকারকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে জানি কিন্তু কিছুদিন ধরে এটি ছবি সংরক্ষণের সাথে সাথে ছবি এডিটিং এর ফিচার আমাদেরকে দিয়ে আসছে। এটি ১টেরাবাইট পর্যন্ত ফ্রী ক্লাউড স্টোরেজ দেয়। যা পরিমাণে অনেক। এটি সাধারণত পেশাদার ফটোগ্রাফাররা ব্যবহার করে আসছে। আপনি যদি আপনার ছবি পুরো বিশ্বকে দেখাতে চান, তাহলে আপনি এখানে ছবি আপলোড দিয়ে পাবলিক করে দিতে হবে।
এখানে আপনি ছবি একত্রিত করা, এডিট করা এবং ভিডিও আপলোড করার বৈশিষ্ট্য পাবেন।
পাওয়া যাবেঃ এন্ড্রয়েড এবং আইওএস এবং ওয়েব।
৬। পিকচারস (Piktures)
পিকচারেস এর বিনামূল্যের সংস্করণ বেশ বেসিক। এটির টাকা দিয়ে কেনা ভার্সনে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। মানুষ সাধারণত গুগল ফটো এর প্রতি বেশি দুর্বল। তাই পিকটুরেস অ্যাপ অনেকটা গুগল ফোটো অ্যাপের মতো কাজ করে। অ্যাপটির আকর্ষণীয় ইন্টারফেস রয়েছে যা সহজ করে দেয় অ্যাপের ব্যবহার।
পাওয়া যাবেঃ শুধুমাত্র এন্ড্রয়েড এর জন্য।
এছাড়া আরো অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। আপনাদের এখান থেকে কার কোনটা পছন্দ হয়েছে তা জানাবেন এবং যদি কেউ এগুলার বাহিরে অন্য কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন তাও আমাদেরকে জানাবেন। 😊